বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবি আদায় ও গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে জন সমাবেশের ডাক দিয়েছে দলটি।
শনিবার বিকেলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচি
আগামী ১৯ মে ঢাকা মহানগর উত্তরসহ ২৮জেলায় ও মহানগরে জন সমাবেশ। ২০ মে ঢাকা মহানগর দক্ষিণসহ ২১ জেলা ও মহানগর জন সমাবেশ। ২৬ মে ঢাকা উত্তর মহানগর সহ ১৯ জেলা ও মহানগর জন সমাবেশ এবং ২৭ মে ঢাকা দক্ষিণ মহানগরসহ ১৫ জেলা শান্তিপূর্ণভাবে জন সমাবেশের ঘোষণা করেছে দলটি।
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ববধায়ক সরকারসহ ১০ দফা ও বিদ্যুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য কমানোর দাবিতে আজ বিক্ষোভ সমাবেশে করে বিএনপি।
দুপুর ২টায় সমাবেশ ও মিছিল শুরুর কথা থাকলেও বেলা ১টার পর থেকে নয়াপল্টনে জোড়ো হতে থাকে নেতাকর্মী। রাজধানীর বিভিন্ন ইউনিটিনের ছোট ছোট মিছিল আসতে থাকে। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠছে নয়াপল্টন। সমাবেশে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, মূলত আমাদের দাবি একটাই, তা সরকারের পদত্যাগ। হাসিনা সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন হতে পারে না, এটা বিদেশিরাও জানে। এখন হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচন রুখে দিতে হবে। আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এজেড এম ডা. জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ