কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ৭ জনের স্মরণে বিএনপির পূর্ব ঘোষিত গায়েবানা জানাজা কর্মসূচি বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে হওয়ার কথা ছিল। যদিও পুলিশি বাধায় তা পালন করতে পারেনি দলটি। একইসঙ্গে কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসা বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
পুলিশের বাধার কারণে বায়তুল মোকাররম মসজিদের বাইরে গায়েবানা জানাজা পড়তে না পারলে বুধবার (১৭ জুলাই) জোহরের নামাজ শেষে মসজিদের ভেতরেই এ নামাজ আদায় করেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গায়েবানা জানাজায় অংশ নিতে মুসল্লিদের বাধা দেওয়া হয়েছে। আমি এ ঘটনার নিন্দা জানাই।
তিনি আরও বলেন, সরকার ইচ্ছা করলে আলোচনার মাধ্যমে কোটা সমস্যার সমাধান করতে পারত। তা না করে বর্বরভাবে হামলা করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে।
গায়েবানা জানাজা শেষে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট আগে থেকে উপস্থিত গণতন্ত্র মঞ্চ ও বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী স্লোগান দিলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এরপর তারা ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। পুলিশ পাল্টা রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বিএনপির পক্ষে থেকে বলা হয়, বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিএনপির এ কর্মসূচি ছিল। সেখানে যাওয়ার পর বিএনপির সংগঠন জি-৯-এর সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেনসহ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে গায়েবানা জানাজায় অংশ নিতে বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রবেশ করতে চাইলে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকি, রফিকুল ইসলাম বাবলুসহ কয়েকজনকে বাধা দেয় পুলিশ।
জানাজায় অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুরু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, গায়েবানা জানাজা কর্মসূচিতে ব্যবহারের জন্য বায়তুল মোকাররমে নেওয়া মাইক পুলিশ কেড়ে নিয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ