বিএনপির পূর্বঘোষিত গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সতর্ক অবস্থান নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। রাজধানীসহ সারাদেশে বিভাগীয় শহরগুলোতে দলটির নেতাকর্মীরা সতর্ক পাহারা বসিয়েছেন। ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ চারটি পয়েন্টে সমাবেশে করবে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিএনপিসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল ও জোট ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে একযোগে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। এরই মধ্যে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেছেন। বেলা ১১টায় শুরু হওয়া এ কর্মসূচি চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
এদিকে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচির দিন সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আলোচনা সভা আয়োজন করেছে। গত সোমবার (৯ জানুয়ারি) এ সভাকে বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সমাবেশ উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিলেও পরে সেটি সংশোধন করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
বেলা ১১টায় শাহবাগে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচির প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি করছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। একই সময়ে ফার্মগেটে সমাবেশ করছে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ। দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সমাবেশ করবে। দিনব্যাপী এসব কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা অংশ নেবেন।
বিকেলে রাজধানীর মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বিএনপির নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সমাবেশ হবে। সেখানেও বক্তব্য রাখবেন ওবায়দুল কাদের।
সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও অন্য রাজবন্দিদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে বুধবার সারাদেশে বিভাগীয় শহরে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।
বিএনপির এ গণঅবস্থান কর্মসূচি প্রসঙ্গে মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খুব একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল ১০ তারিখ (১০ ডিসেম্বর) নিয়ে। এত ঢাকঢোল পিটিয়ে ১০ তারিখে তারা চলে গেল গোলাপবাগে।
সেটা আমি বলতে চাই না যে সেখানে তাদের যেতে হলো। এখন আবার বলে ১১ তারিখ (১১ জানুয়ারি) থেকে তারা আন্দোলন করবে। আবার সঙ্গে জুটে গেছে অতি বাম, অতি ডান। সব অতিরা এক হয়ে, আতি-পাতি নেতা হয়ে তারা নাকি একেবারে ক্ষমতা থেকে আমাদের উৎখাত করবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে, জনগণের কল্যাণে কাজ করে। কেউ আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিল, আর আওয়ামী লীগ পড়ে গেল, এত সহজ নয়।
বিএনপির কর্মসূচিকে ইঙ্গিত করে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর তো গেল, আওয়ামী লীগ কি মোকাবিলা করেনি? আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ, অনেক বেশি শক্তিশালী। আমরা যে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র, যে কোনো ধরনের আন্দোলনের নামে সহিংসতার সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ