চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার মোহাম্মদপুরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মিম খাতুন ওরফে মর্জিনা (৩০) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তার ভাই আলমগীর হোসেনকে (৩৫) মারধর করা হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (২২ অক্টোবর) ভোরে নিজ বাড়ির অদূরে একটি বেগুন ক্ষেত থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মিম খাতুন দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌরসভার মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত আরমান আলীর মেয়ে। তার স্বামীর নাম সুরুজ মিয়া। তিনি স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন।
দর্শনা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার এনামুল কবির বলেন, রোববার রাত ৮টার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত মিম ও তার ভাই আলমগীরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এসময় বাড়িতে তাদের মাও ছিল। ঘটনাটি স্থানীয়দের না জানালেও তারা পুলিশে জানায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে চলে যায়। ভোরে স্থানীয়রা একটি বেগুন ক্ষেতে রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আহত আলমগীর বলেন, রাত ৮টার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত বাড়ির সামনে থেকে আমাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে থাকে। আমার চিৎকারে বোন ছুটে আসলে তাকেও ধরে ফেলে। এসময় বোন বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করে। এরপর আমি আর কিছু জানি না। পরবর্তীতে আমাকে পাশের বেগুন ক্ষেতে নিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে মামলা চলছে। আমার বোন তাকে মারধর করেছিল। এ কারণে বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি-ধামকি দিতো দ্বিতীয় স্ত্রী। থানায় জিডিও করেছি। আমার ধারণা, এরই জের ধরে তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কোনোকিছুর আঘাতে আলমগীর হোসেন মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। সেখানে দুই-তিনটা সেলাই দেওয়া হয়েছে। তিনি শঙ্কামুক্ত।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশের একাধিক টিম। মামলা প্রক্রিয়াধীন। মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি