দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও সিন্ডিকেট দমনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ‘জাতীয় জনতার জোট’ নামে একটি সংগঠন। আজ (শনিবার) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা।
এতে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ জাস্টিস এন্ড ডেভলপমেন্ট পার্টি এবং জাতীয় জনতার জোটের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসাইন। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সর্বজনীন দলের চেয়ারম্যান মো. রাসেল কবির।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে দেলোয়ার হোসাইন বলেন, দেশে বিভিন্ন ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার জন্য জনজীবনে অনেক দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলছে। একবার যে পণ্যের দাম বাড়ে, তা আর কমে না। সরকারি বিভিন্ন সংস্থাগুলো এ ব্যাপারে লোক দেখানো কাজ করলেও, তা তেমন কার্যকর ভূমিকা না রাখায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বর্তমানে সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিসিবির ট্রাকের পেছনে বিশাল লাইন প্রমাণ করে নিঃসন্দেহে দরিদ্র মানুষেরা স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে পারছে না এবং মূল্যস্ফীতির সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। স্বল্প আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জীবনধারণ ক্রমশ দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে। তাদের কাছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি যেন নতুন এক অভিশাপের নাম। এভাবে চলতে থাকলে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে পড়বে।
দেলোয়ার হোসাইন আরও বলেন, কোভিড মহামারির ধাক্কায় গত দুই আড়াই বছরের মধ্যে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। আবার অনেকেই বেতন-ভাতা বৃদ্ধি তো দূরের কথা বরং মালিকপক্ষ নানান অজুহাতে কর্মীদের বেতন-ভাতা কমিয়ে দিচ্ছে। কোথাও কোথাও কর্মী ছাঁটাই করছে। দ্রব্যমূল্য না কমলে এসব মানুষের অবস্থা কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়াবে, তা অনুমান করা খুব মুশকিল।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের অসৎ উদ্দেশ্যও নস্যাৎ করে বাজার নিয়ন্ত্রণের সামগ্রিক বিষয় সরকারের হাতে নিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিম্নগামী করার ব্যবস্থা করতে দাবি জানান।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ