বাংলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে ৯ দিনব্যাপী ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু’ বিষয়ক বই প্রদর্শন ও বিক্রি। রোববার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবস উপলক্ষ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। যা চলবে আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত (ছুটির দিন ব্যতীত)।
একইসঙ্গে এই দিবসকে ঘিরে দিনভর পালন করা হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। সকালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে ধানমন্ডির ৩২ নং সড়কে ও একাডেমিতে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে। এরপর অনুষ্ঠিত হয় ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে আনব হাসি সবার ঘরে’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।
এতে সূচনা বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. সরকার আমিন। তিনি বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন সবার হৃদয়ে। টুঙ্গিপাড়ার খোকা একসময় সারা বাংলাদেশের নয়নের মণিতে পরিণত হন এবং হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালিকে একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র উপহার দেন।
বঙ্গবন্ধু বিষয়ক একক বক্তৃতা দেন গবেষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ একদিনের ফসল নয়। ধাপে ধাপে নানান সংগ্রামী পরিক্রমা অতিক্রম করে আজকের এই বাংলাদেশ। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বীজবিন্দুতে আছে ভাষা আন্দোলন ও বাংলা একাডেমি। বাংলা একাডেমি সেই মহান প্রতিষ্ঠান যেখান থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রথম পূর্ণাঙ্গ জীবনী প্রকাশিত হয়।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক নেতৃত্বের পটভূমি হিসেবে পেয়েছেন এদেশের ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বের লড়াকু নেতা ও জনতাকে; যারা তাকে সাহস দিয়েছে, স্বপ্ন দিয়েছে এবং ধীরে ধীরে বিশ্বমানচিত্রে ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রণোদনা জুগিয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ। সব বাঙালি বিশেষ করে বাংলার শিশুকিশোরেরা ছিল তার অতি প্রিয়জন। কারণ তাদের ভেতরেই তিনি মুদ্রিত দেখতেন আগামীর বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছে, তেমনি তারই আদর্শে আমরা এগিয়ে চলেছি স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার রূপকল্পে।
পরে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার রচনা ও মীর বরকতের নির্দেশনায় পরিবেশিত হয় ‘উদ্ভাসন আবৃত্তি সংগঠন’ এর আবৃত্তি প্রযোজনা স্বাধীন জাতির স্বাধীন পিতা। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর স্মরণে করা বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ