মালদ্বীপের নাগরিককে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়া বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক শাহ আলম মিয়া সেলিমের (২৯) মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য মালদ্বীপের ফৌজদারি আদালতের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) মালদ্বীপের হাইকোর্ট থেকে বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক শাহ আলম মিয়া ওরফে সেলিমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। এর আগে ফৌজদারি আদালতের মৃত্যুদণ্ডের বৈধতা নিশ্চিত করতে হাইকোর্টে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
ছুরি ও দুটি ধারালো লোহার বার দিয়ে বুকে ও ঘাড়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় মালদ্বীপের নাগরিক মাহমুদকে। মাহমুদের লাশ বস্তায় ভরে একটি কূপে ফেলে দেওয়া হয়। সেলিম এর আগে স্বীকার করেছিলো যে, সে টাকার লোভে এটা করেছে। মাহমুদের পরিবার মৃত্যুদণ্ড দ্রুত কার্যকর করতে চায়।
মালদ্বীপের নাগরিককে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো একজন বাংলাদেশিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। সেলিমের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার লাখাইল উপজেলার কামালপুর গ্রামে। ২০২২ সাল থেকে দীর্ঘ সময়ে সেলিম মিয়া তার সাজার বিরুদ্ধে কোনও আপিল দাখিল করেননি।
বুধবার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সেলিমের সাজার বৈধতা নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। পরে আদালতের শুনানিতে সেলিম তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখতে বলেন। সেলিম চিৎকার করে বলেন, তিনি আর নতুন আইনজীবী চান না। সাজাটি যেমন আছে তেমনই থাকুক। কারণ, কর্তৃপক্ষের কেউই তার বক্তব্য গ্রহণ করছেন না।
মালদ্বীপের স্থানীয় ব্যবসায়ী মাহমুদ আবু বকুরকে নির্মমভাবে হত্যা এবং দ্বীপে একটি পরিত্যক্ত কূপে তার মরদেহ ফেলে রাখার ঘটনা ঘটলে ২০২১ সালের অক্টোবরে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সেলিমের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে মালদ্বীপের ফৌজদারি আদালত।
মালদ্বীপের ইতিহাসে এটিই প্রথম কোনও বিদেশিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়ার ঘটনা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ