‘প্রত্যেক ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের ইচ্ছে রয়েছে বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের। কিন্তু অনেকেই জানেন না, বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের সঠিক উপায় কোনটি। বলছিলেন সানফান্সিসকো ভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান কমপোলজি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেসন গেটস।
এডিটি সিকিউরিটি, নিউ মার্কেট ওয়েস্ট, প্রোলার ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউবিসিআর ট্রাকিং, ফরেভার ক্লিন, টালিশমার্ক, লাইভারমোর স্যানিটেশন, ডব্লিউএম প্যাসেফিক নর্থওয়েস্ট, পিএসএসআই ও রিথিংক ওয়েস্ট এর মত যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এআই প্রযুক্তি নিয়ে বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ কাজ করছে কমপোলজি।
এআই প্রযুক্তির সহায়তায় কিভাবে বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ কাজটি করা যায় সে ব্যাপারে নিজের কার্য পদ্ধতি বর্ণনা দিয়েছে স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান কমপোলজি।
কমপোলজি বলছে, যাতে সঠিকভাবে পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ করা যায়, সেজন্য প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করতে আমরা ডাম্পিং স্টেশনের শিল্প বর্জ্যের কন্টেইনারের ভেতরে ক্যামেরা ও এআই সেন্সর স্থাপন করি। এই কন্টেইনারের বর্জ্য যখন ডাম্পিংয়ের জন্য নেয়া হয়, তখন এই ক্যামেরা ছবি সংগ্রহ করে।
সানফান্সিসকোভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান কমপোলজি-ডাম্পিং স্টেশনগুলোতে ক্যামেরা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই সিস্টেম ব্যবহার করেছে। প্রতিষ্ঠানটির মূল উদ্দেশ্য ছিলো, ডাম্পারগুলো বর্জ্য পরিপূর্ণ হওয়ার পরই সেগুলো পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে কিনা। একইসাথে রিসাইকেল করার মতো বর্জ্য, বিশেষ করে কার্ডবোর্ড যেন অন্য বর্জ্য দিয়ে দূষিত হয়ে বর্জ্যে পরিণত না হয়, সে বিষয়টি নজরে রাখা।
কমপোলজির বাণিজ্যিক ডাম্পারগুলো মনিটর করে দেখেছে ভেতরে কি বর্জ্য ফেলা হয়। এআই সফটওয়্যার ডাম্পের ভেতরের ফুটেজ বিশ্লেষণ করে কন্টেইনার কতটুকু পূর্ণ হয়েছে, তা বের করে।
কমপোলজি লাসভেগাসে ম্যাকডোনাল্ডস’এর ডাম্পারগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, প্রতিষ্ঠানটি কাঠের বাক্সে বর্জ্য ফেলছে। তবে মাঝে মাঝে ব্যাগে করেও ময়লা ফেলছে। কর্তৃপক্ষ জানায়, যখন তারা দেখছেন কেউ ময়লা ভর্তি ব্যাগ কার্ডবোর্ড কন্টেইনারে ফেলছেন, তখন এসএমএসের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পাঠানো হয়। তাদের বলা হয়, পরের দিন সকালে ট্রাক আসার আগেই ময়লা ভর্তি ব্যাগটি কার্ডবোর্ড কন্টেইনারে থেকে সরিয়ে পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করা যায় এমন ব্যাগে ময়লা ফেলতে। ভবিষ্যতে যেন এটা আর না করা হয়, সে বিষয়েও সতর্ক করা হয়।
কমপোলজি বলছে, ডাম্পার স্থাপন করার পর এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬২ হাজার ক্যামেরায় ৮ কোটি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এর ফলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আসছে।
মার্কিন পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা বলছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের হার ৫০ শতাংশে উন্নীত করতে চায় তারা। বর্তমানে দেশটিতে বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের হার প্রায় ৩২ শতাংশ।
কমপোলজি বলছে, বাণিজ্যিক সার্ভিস নিতে প্রতি ডাম্পারে খরচ হবে ১০-২০ ডলার। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে প্রতি ডাম্পারে বর্জ্য পরিবহন বাবদ বছরে হাজার ডলারের উপরে অর্থ সাশ্রয় হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এআরকে