বরিশালের বিভিন্ন নদীতে মাছ শিকারের সময় আটক ৩০ জেলেকে ১০ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার সকাল থেকে মৎস্য বিভাগ, পুলিশ ও ব্যাটালিয়ন আনসারদের যৌথ অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম হিসেবে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মো. লুৎফর রহমান, ফাহিজা বীসরাত ও মো. শহীদ উল্লাহ কারাদণ্ড দেন।
দণ্ডিতরা হলেন-কবির (৫০), আবু সাইদ (৩০), খোকন (৩০), শাহজাহান (৬৮), মিলন (৩৪), শাহজাহান সিকদার (৪৫), মামুন (৪৫), হিরন (১৮), ইব্রাহিম (৩২), রাজিব হোসেন (৩০), আবুল কাসেম (৩০), মিরাজ (৩২), কবির (৪৫), কবির হোসেন (৫০), সজিব (২২), শাহিন (৩৫), সাবু হাওলাদার (৩০), সুমন গাজী (৩২), জাকির (১৮), ফেরদৌস হোসেন (৩০), নাসির হাওলাদার (৩৫), রাকিব ডাকুয়া (৩০), নাজমুল (১৮), আরিফ (১৮), বেল্লাল (৩০), আকাশ শেখ (২২), মতলেব (৫৪), খোকন ঢালী (৪০), আবুল কাসেম (২০) ও মেরাজ ভুইয়া (৩২)।
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস জানান, মৎস্য বিভাগের নেতৃত্বে পুলিশ ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের নিয়ে কালাবদর নদীতে অভিযান করা হয়। এ সময় ৩০ জেলে আটক, ৫ হাজার মিটার জাল ও ২০ কেজি ইলিশ মাছ উদ্ধার করা হয়েছে।
পরে তাদের বরিশাল নগরীর ডিসিঘাট এলাকায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে পৃথক তিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০ দিন করে কারাদণ্ড দিয়ে সকলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার করা মাছ বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা ও দুস্থদের দেওয়া হবে। জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
এ ছাড়া গত ১৪ দিনে বিভাগে মোট ৩৪৯ জেলের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১৮ লাখ ৯২ হাজার একশত টাকা। উদ্ধার করা হয়েছে ৭৭ লাখ ১৬ হাজার মিটার জাল, ১৩ হাজার ৬৮ কেজি ইলিশ মাছ। নৌকাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিলামে বিক্রি করে দুই লাখ ৮৪ হাজার টাকা জমা করা হয়েছে বলেও জানান এই মৎস্য কর্মকর্তা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ