ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ভারি বর্ষণ, সঙ্গে থেমে থেমে বইছে দমকা হাওয়া। ভারি বর্ষণের পানি এবং কীর্তনখোলা নদীর পানি বৃদ্ধির পাওয়ায় বরিশাল নগরীর অলিগলিতে হাঁটুপানি জমেছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। এদিকে বরিশাল জেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রায় আট হাজার মানুষ এবং দেড় হাজার গবাদি পশু আশ্রয় নিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ভয়াবহ রূপ নিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-পশ্চিম উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। এর ফলে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভারি বর্ষণের কারণে নগরীর সড়কে তেমন কোনো মানুষ নেই। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরে থেকে বের হচ্ছে না। বেশির ভাগ বিপণিবিতনসহ মার্কেটের দোকানপাট খোলেনি আজ। এ ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি কম লক্ষ করা গেছে। সড়কে যানবাহন চলাচলও কম ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। বর্তমানে ৪৫ নটিক্যাল মাইল বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সোহেল মারুফ জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জরুরি প্রয়োজনে বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি ও ১০টি উপজেলার প্রতিটিতে একটি করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
এ ছাড়া এক হাজার ৫২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে আড়াই লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। পাশাপাশি জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। মাইকিং ও আবহাওয়ার সর্বশেষ তথ্য প্রচার অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় আট হাজার মানুষ এবং দেড় হাজার গবাদি পশু আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ রক্ষায় গুরুত্ব আরোপ করা, সিপিপি, রেড ক্রিসেন্টসহ সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ