বাংলা৭১নিউজ, বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর চরকাউয়া পয়েন্টে ফ্লাইএ্যাশবাহী জাহাজ ও তেলবাহী ট্যাংকারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তেল ছড়িয়ে পড়েছে নদীতে।
শুক্রবার সকাল ৮টায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে কি পরিমাণ ডিজেল নদীতে ছড়িয়ে পড়েছে তেল ওঠানোর আগ পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দুর্ঘটনার শিকার ট্যাংকার এমটি ফজরের মাস্টার জামসেদুর রহমান।
মেঘনা গ্রুপের ফ্লাইএ্যাশবাহী কার্গো জাহাজ এমভি মা বাবার দোয়া-২ এর সুকানী মো. এরশাদ বলেন তারা ভারত থেকে মংলা বন্দর হয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে স্রোতের কারণে তেলবাহী ট্যাংকারের সাথে তাদের জাহাজের সংঘর্ষ হয়। এ সময় নদী বন্দরে অবস্থান করা পারাবত-১২ লঞ্চের পেছনেও ধাঁক্কা লাগে।
দুর্ঘটনার শিকার ট্যাংকার এমটি ফজরের মাস্টার জামসেদুর রহমান বলেন, তারা ঢাকা থেকে ডিজেল ও পেট্রোল নিয়ে বরিশাল যমুনা ডিপোতে আসছিলেন। তাদের ট্যাংকারে ৩ লাখ লিটার পেট্রোল ও সাড়ে ৯ লাখ লিটার ডিজেল ছিল। কার্গো জাহাজ তাদের ট্যাংকারে সজোরে আঘাত হানলে ডিজেলের চেম্বারে আঘাত লেগে তা কীর্তনখোলা নদীতে ছড়িয়ে পড়ে। তারা দ্রুত ডিজেল অন্য চেম্বারে সরিয়ে নিয়েছেন। তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে তেল ওঠানোর আগে কিছু বলতে পারছেন না তিনি।
কীর্তন খোলা নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় কয়ে’শ বাসিন্দা তেল উত্তোলন করেছেন নদী থেকে।
এনিয়ে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভিকের দায়িত্বে থাকা উপ পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার পর তারা ঘটনাস্থলে আসেন। দুর্ঘটনার শিকার দুটো জাহাজই তারা নিরাপদ স্থানে নোঙ্গর করে রেখেছেন। এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে জানানো যাবে বলেন তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস