বরগুনায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত এক্সপেন্ডেট প্রোগ্রাম অন ইমুনাইজেশন (ইপিআই) ভবনে করোনার টিকা সংরক্ষণের জন্য রাখা দুটি ডিপ ফ্রিজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুড়ে যাওয়া ফ্রিজ দুটিতে কোনো টিকা না থাকায় গুরুতর ক্ষতি হয়নি।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত ইপিআই নতুন ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্রাইট সাইন এর সত্ত্বাধিকারী আবুল কালাম আজাদ বলেন, বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে বাসায় যাওয়ার পথে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে গেলে ইপিআই ভবন থেকে ধোয়া বের হতে দেখে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমের সহযোগিতায় বরগুনা ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বরগুনার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. খোর্শেদ আলম জানান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জানালা দিয়ে ধোঁয়া বের হতে দেখে এক পথচারী ফায়ার সার্ভিসে কল করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তিনি আরও জানান, অগ্নিকাণ্ডে করোনার টিকা সংরক্ষণের জন্য সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে থাকা দু’টি ডিপফ্রিজ পুড়ে গেছে। তবে পুড়ে যাওয়া ডিপফ্রিজে করোনা টিকা কিংবা অন্য কোনো টিকার ওষুধ ছিল না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
এ বিষয়ে বরগুনা সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান জানান, ইপিআই ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করোনাভাইরাসের টিকা সংরক্ষণের জন্য রাখা দুটি ডিপ ফ্রিজ পুড়ে গেছে। তবে ফ্রিজ দু’টিতে কোনো ধরনের টিকা ছিল না।
তিনি আরও জানান, বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. মাহবুব হোসেন, ডা. ইউসুফ কবির, ওজোপাডিকো নির্বাহী প্রকৌশলী, ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী উপ-পরিচালক, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী সহ মোট পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে বের করা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/আরকে