মঙ্গলবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। তবে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরুর ৫ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু সূচকের বড় উত্থান বেশি সময় স্থায়ী হয়নি।
সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে লেনদেনে অংশ নেওয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমতে থাকে। ফলে দেখতে দেখতে ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক। লেনদেনের শেষদিকে পতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। ফলে সূচকের বড় পতন দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৭০৩ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৫১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৫১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ২৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৬৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৬৬টির। আর ৪০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৪৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭০৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ৪৩৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৮৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৯৮ কোটি ৬২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৪৯ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- আইএফআইসি ব্যাংক, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ওরিয়ন ফার্মা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, জিনেক্স ইনফোসিস এবং ফরচুন সুজ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৬২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৭৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৮টির এবং ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম