শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার! হাইকোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লামায় অগ্নিসংযোগ: ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপদেষ্টা-প্রশাসন নসরুল হামিদের ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ, অস্বাভাবিক লেনদেন ৩১৮১ কোটি তিন উপদেষ্টাকে বিপ্লবী হতে বললেন সারজিস আলম জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা কোরিয়া থেকে ৬৯৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার সাভারে বন্ধ টিএমআর কারখানা চালুর নির্দেশনা উপদেষ্টার দুদকের সাবেক কমিশনার জহুরুল হকের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ায় কোহলিকে আইসিসির শাস্তি শেখ হাসিনা-শেখ রেহানার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি ফখরুলের ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত প্রাণ এএমসিএলের ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বাদ যাচ্ছে ১১১৮৬ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বিমানের সিটের নিচে মিলল ২০ সোনার বার, যাত্রী আটক ‘পিলখানা হত্যায় নিরপেক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র চিহ্নিত করা হবে’ চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস

বট-পাকুড়ের বিয়ে খেলেন হাজার অতিথি

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় রবিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৪২ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী মহানগরীর খড়খড়ির বাইপাসে শ্রী শ্রী গোপালদেব ঠাকুর মন্দিরে ধুমধাম করে দুই গাছের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রায় হাজার খানেক মানুষ বিয়ের দাওয়াত খেয়েছেন বলেও জানা গেছে।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় সেখানে নারায়ণ পূজার মধ্য দিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বট গাছকে ‘বর’ ও পাকুড় গাছকে ‘কনে’ ধরে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের আগে বটের নাম রাখা হয় ‘বিজয়’। আর পাকুড়ের নাম হয় ‘বনলতা’।

এই বিয়েতে বটের বাবা-মা হয়েছিলেন বিধান চন্দ্র সরকার ও আরতি রানী সরকার দম্পতি। পাকুড়ের বাবা হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ সরকার ও মা হয়েছিলেন কনিকা রানী সরকার।

স্থানীয়রা জানান, একশ বছরেরও বেশি পুরনো এ মন্দির প্রাঙ্গণে ১৭ বছর আগে পাশাপাশি গাছ দুটি লাগানো হয়েছিল। হিন্দু শাস্ত্রমতে পাশাপাশি বট-পাকুড় গাছ থাকলে তাদের বিয়ে দিতে হয়। এই রীতি মেনেই শনিবার ধুমধাম করে তাদের বিয়ে দেয়া হয়েছে। আর তাই মানুষের মতোই ঘটা করে ধামুধামে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।

বিয়ে ঘিরে বর-কনের পাশে ছাদনাতলা সাজানো হয়। টাঙানো হয়েছিল সামিয়ানা। লাগনো হয় দৃষ্টিনন্দন লাইট। বিয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয় চারপাশ। হিন্দু রীতি অনুসারে কলাগাছ দিয়ে সাজানো ছিল বিয়ের আসর। দিনভর গান বাজনা চলে। গানের তালে তালে চলে বর ও কনে পক্ষের নাচানাচি। পাশেই ব্যস্ত রাঁধুনিরা। মোটকথা সত্যিকারের বিয়ের উৎসবে যা যা হয়ে থাকে তাই হয়েছে। শুধু বর-কনে দাঁড়িয়ে আছে একই জায়গাতে।

 

বিকেল ৪টা থেকে ছাদনাতলায় মঙ্গলঘট বসিয়ে শুরু হয় বিয়ের আয়োজন। বিকেলের দিকে দলে দলে লোক আসে বরযাত্রী হয়ে। গেটে তাদের অভ্যর্থনা জানানো হয় বাতাসা খাইয়ে। সন্ধ্যা থেকে জমে ওঠে বিয়ের অনুষ্ঠান। বর-কনের চারপাশ ঘিরে গল্পে মেতে ওঠেন অতিথিরা।

পাকুড় গাছের মা কনিকা রানী বলেন, ১০ দিন আগে তিনি পাকুড়ের মা হওয়ার সিদ্ধান্ত পান মন্দির কমিটির মাধ্যমে। মূলত মেয়ের বিয়ে দেওয়া উপলক্ষেই তিনি মা হয়েছেন। গাছের মা হওয়া এবং ধুমধাম আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বিয়ে দেওয়ায় তিনি বেশ আনন্দিত।

পুরোহিত পুলক আচার্য বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতার দায়িত্বে ছিলেন। গোধূলি লগ্নে মন্ত্র পড়ে বিয়ের কাজটি সম্পন্ন করেছেন তিনি। বিয়ের এই অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ খেতে এসেছিলেন প্রায় হাজারখানেক অতিথি। আমন্ত্রিতদের খাওয়ানো হয় পোলাও, সবজি ঘণ্ট আর পায়েস। সঙ্গে ছিল জলপাইয়ের আচার।

বিয়ের এই আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের বিষয়ে মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সরকার বলেন, হিন্দু শাস্ত্রে আছে বট-পাকুড় পাশাপাশি থাকলে তাদের বিয়ে দিতে হয়। রীতি চরিতার্থ করার স্বার্থেই এ আয়োজন। বট-পাকুড় এখন আজীবন এভাবে পাশাপাশি থাকবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

বাংলা৭১নিউজ/সিএফ

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com