চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের মারধরের ঘটনায় বিচারের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মূল ফটকে তালা দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কফিলের সহপাঠীরা। সোমবার (২৮ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকার মূল ফটকে তালা দিয়ে অবস্থান নেন তারা। পরে দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সহকারী প্রক্টরদের আশ্বাসে প্রধান ফটক খুলে দেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে গত রবিবার (২৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের সামনে আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কফিল উদ্দিনের ওপর অতর্কিত হামলা চালান শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিক্সটি নাইনের পাঁচ-ছয়জন কর্মী।
এ সময় তারা কফিলের মাথায় ও শরীরে রড ও ইট দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এতে তার মাথা ফেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, নৈতিকতার জায়গা থেকে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। সবুজ ক্যাম্পাসে অহেতুক এক ছাত্রকে রক্তাক্ত করার অধিকার কারো নেই। হাসপাতালের বিছানায় এখনো কাতরাচ্ছে কফিল। আমরা আমাদের সহপাঠীকে মারধরের বিচার চাই। মেডিক্যাল সেন্টারের সামনে সিসি ক্যামেরা আছে, অভিযুক্তকে শনাক্ত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হোক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সহপাঠীকে মারধরের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছিল ছাত্ররা। আমরা বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে আসে। ‘
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ