বরগুনার আমতলী পৌর শহরের আমতলী-কলাপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের ছুড়িকাটা নামক স্থানে একটি ফিলিং স্টেশনে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদলের সদস্যরা ওই ফিলিং স্টেশনের আলমারি ভেঙে সাড়ে ১২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে বলে দাবি করছে মালিকপক্ষ। এ ঘটনায় বাধা দিতে গিয়ে মো. ইদ্রিস আলী (৪০) নামের এক মিটারম্যান আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, রবিবার রাত আড়াইটার দিকে স্থানীয় সৈকত ফিলিং স্টেশনে মাস্ক পরিহিত পাঁচ থেকে ছয়জনের একটি ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফিলিং স্টেশনে প্রবেশ করে।
অফিসরুমের কলাপসিবল গেটের তালা ভাঙতে গেলে নাইট ডিউটিতে থাকা মিটারম্যান মো. ইদ্রিস আলী এতে বাধা দেন। এ সময় ডাকাতদলের সদস্যরা মিটারম্যানকে দেশীয় অস্ত্র রামদা, ছেনা ও রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে অফিসরুমে প্রবেশ করে। এ সময় অফিসরুমে থাকা ওই ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার আনোয়ার হোসেনকে জিম্মি করে স্টিলের আলমারি ভেঙে ১২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা লুট করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
ওই ঘটনায় বাধা দিতে গিয়ে আহত হওয়া মিটারম্যান ইদ্রিস আলীকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে সৈকত ফিলিং স্টেশনের মালিক মো. মিজানুর রহমান শিপন তালুকদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সৈকত ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘রাত অনুমান আড়াইটার দিকে পাঁচ-ছয়জনের ডাকাতদল মিটারম্যান ইদ্রিস আলীকে আহত করে ফিলিং স্টেশনের অফিসরুমের কলাপসিপল গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় আমাকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে বাথরুমের মধ্যে আটকে রেখে আলমারি ভেঙে ১২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। ‘
সৈকত ফিলিং স্টেশনের মালিক মিজানুর রহমান শিপন তালুকদার মুঠোফোনে বলেন, ‘রবিবার গভীর রাতে ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রের মুখে আমার মিটারম্যানকে আহত করে এবং অফিসরুমের আলমারি ভেঙে গত দুই দিনের (শুক্র ও শনিবার) পাম্পের তৈল ও এলপি গ্যাস বিক্রির ১২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। ‘
আমতলী থানা ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা এসআই মো. ইউনুচ আলী ফকির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় দস্যুতা আইনে অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ‘
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি