আর ফিকশনের পাতায় নয়, এবার রেস্তোরাঁর মেনুতে মিলতে যাচ্ছে ল্যাবে তৈরি মাংস। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এ বছরের মধ্যেই রেস্টুরেন্টে এমন মাংস বিক্রির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন প্রস্তুতকারকরা।
এতদিন সায়েন্স ফিকশনে দেখা যেত গোপন গবেষণাগারে তৈরি হচ্ছে মাংস। তাই প্রস্তুতকারকদের দাবি সত্য হলে, আর ফিকশন নয়, সত্যিকার অর্থেই খাবারের প্লেটে আসতে চলেছে ল্যাবরেটরিতে তৈরি হওয়া মাংষ। যা পাওয়া যাবে যুক্তরাষ্ট্রের রেস্তোরাঁগুলোয়। তবে ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৮ সাল নাগাদ এই মাংস বাজারে আসবে।
ল্যাবে বানানো মাংসের প্রচারের জন্য এরই মধ্যে আর্জেন্টিনার বেশ কয়েকটি বড় বড় রেস্টুরেন্টের সঙ্গে চুক্তিও হয়ে গেছে। চুক্তি অনুযায়ী ফ্রান্সিস মলম্যান ও স্প্যানিয়ার্ড জোসে আন্দ্রেসের মতো রেস্টুরেন্টের মেনুতে রাখা হবে ল্যাবে তৈরি মাংস।
তবে এ ক্ষেত্রে সফলতা আনতে কাঠখড় পোড়াতে হবে উৎপাদকদের। আসল মাংসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বাজারে টিকে থাকাটাই ল্যাবের মাংসের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তাছাড়া দামও হাতের নাগালের মধ্যে রাখা গেলেই তা সম্ভব হবে।
এরই মধ্যে সিঙ্গাপুর এ ধরনের মাংস খুচরা বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। তবে এবার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) অনুমোদনের পর এখন যুক্তরাষ্ট্রেও এটি বিক্রি হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। আসল মাংসের ছোট একটি কোষ থেকেই তৈরি হয় ল্যাবের মাংস। পরে এতে স্বাদ ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ যোগ করা হয়। কিছু প্রক্রিয়ার পরই বস্তুটি আসল মাংসের মতো হয়ে ওঠে।
সূত্র : রয়টার্স, ডেইলি মেইল ও দ্য গার্ডিয়ান।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম