বাংলা৭১নিউজ, নাজিম বকাউল, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর পৌরসভার আলীপুরের অম্বিকাপুর রেল কলোনীর শতাধীক পরিবার গত এক মাস ধরে পানিবন্দি হয়ে আছে। আষার-শ্রাবনের ঘন বৃষ্টিতে তাদের জীবনে ডেকে এনেছে স্তব্ধতা।
এদিকে পানিবন্দি থাকার কারনে স্কুল যেতে পারছে না ঐ এলাকার শিক্ষার্থীরা। জীবনের ঝুকি নিয়ে বাস করছে পরিবার গুলো। ঘরের মেঝেতে পানি উঠে যাওয়াতে রান্না করা থেকে শুরু করে দৈনন্দিন সকল কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে তাদের। আবার রাতের অন্ধকারে সাপের ভয়ে ঘুমাতে পারছে না পরিবার গুলো। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অম্বিকাপুর রেল লাইনের পাশে নিচু এলাকায় বাস করছে শতাধীক পরিবার। গত এক মাস ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় এই নিচু এলাকায় জলব্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তাই পানিবন্দি জীবন যাপন করছে তারা। ঘরের চৌকি অবদি পানি উঠে গেছে তাদের। রান্না করার কোন ব্যবস্থাও নেই। সকল পরিবারগুলো অন্যের বাড়িতে রান্না করে ঘরে নিয়ে আসছে অথবা খাবার কিনে খাচ্ছে।
এদিকে স্কুল গামি শিক্ষার্থীরা ঘর থেকে বের হতে পারছে না। আবার ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে যাওয়া বই খাতা ভিজে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। অনেকে পরিবার সন্তানদের তাদের নানা অথবা দাদা বাড়ি বা কোন অত্মিয়ার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে ।
স্থানীয়রা জানালেন, গত কয়েক বছর যাবৎ এই এলাকার মানুষ বৃষ্টি মৌসুমে পানিবন্দি হয়ে পরে।
এলাকার বাসিন্দা ফিরোজ খান বলেন, প্রতি বছরই বৃষ্টি মৌসুমে পানি বন্দি থাকি। এ কয়েকমাসে জীবনযাপন কার খুবই কষ্ট সাধ্য হয়।
আর এক বাসিন্দা শেখ হাপেজ মোল্লা বলেন, বাড়িতে যেতে হলে কোমড় পযন্ত পানির মধ্যে নেমে বাড়ি যেতে হয়। সব সময়ে আতঙ্কে থাকি এই বুঝি আমার বাচ্চা পানিতে পড়ে গেলো।
পানি বন্দি জাহাঙ্গীরের স্ত্রী বলেন, বাচ্চাকে আমি তার নানা বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। বেঁচে আছি জীবনের ঝুকি নিয়ে। তিনি বলেন, এরকম সকল পরিবারে কমবেশি স্কুল পড়ুয়া সন্তান রয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর খন্দকার সামসুল আরেফীন সাগর বলেন, গত বছরও এ এলাকার মানুষ পানিবন্দি ছিলো। আমরা স্থায়ী সমাধের চেষ্টা করেছি। কিন্তু এ এলাকার পানি বের করার কোন জায়গা নেই। বৃষ্টি কমলে আমরা পানি সেঁচের মাধ্যমে এলাকার জলাবব্ধতার নিরসন করতোভ।
রেল কলোনীর জলাবব্ধতার দেখার জন্য শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসেন এনডিসি মো. পাভেজ মল্লিক। তিনি জানালেন, শতাধিক পরিবার এখন পানিবন্দি রয়েছে। তিনি বলেন, জেলা প্রসাশকের নির্দেশে আমি বাস্তবস্থা দেখতে এসেছি। আজ অথবা কাল থেকে পানিবন্দি পরিবারের জন্য সরকারি সহায়তা দেওয়া শুরু হবে। এছাড়া এলাকার জলাবদ্ধাতা নিরসনের জন্য স্থানীয় পৌরসভার সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনৗয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস