রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ভোট দিয়েছেন।
বুধবার (২১ জুন) সকাল সোয়া ৯টায় নগরীর স্যাটেলাইট টাউন হাইস্কুল কেন্দ্রে দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ভোট দেন তিনি। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনে অন্তত ৬০ শতাংশ ভোট পড়বে।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি অন্তত ৬০ ভাগ হবে।
তিনি বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতি ৬০ শতাংশের আশপাশে থাকবে ইনশাল্লাহ। এটা আশা করায় যায়।’
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী না দেওয়া ভুল সিদ্ধান্ত। প্রার্থী দিলে তারা তাদের অবস্থান বুঝতে পারতো। জনপ্রিয়তা থাকলে তাদের প্রার্থী নির্বাচিতও হতে পারতেন। সুতরাং, প্রার্থী না দেওয়া ভুল সিদ্ধান্ত।’
জাতীয় পার্টির প্রার্থীর ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি তাদের সাধ্যমতো প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে। নির্বাচনে আরও অন্যান্য দল অংশ নিলে খুশি হতাম।’
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও তাদের দলীয় অনেক নেতা কাউন্সিলর পদে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। এজন্য দল থেকে বহিষ্কার করলেও তারা নির্বাচন থেকে সরেননি। বিএনপির ভোট মেয়র পদে আসলে কে পাবে সেটা বলা মুশকিল। তবে রাজশাহী শহরের উন্নয়নের স্বার্থে তাদেরও কিছু ভোট আমি পাব বলে আশা করছি।’
লিটন যে কেন্দ্রের ভোটার সেখানে সকালে ভোটারের উপস্থিতি ছিল কম।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একেক এলাকার মানুষের অভ্যাস একেকরকম। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এখানেও ভোটার বাড়বে।’
লিটন জানান, সকালেই তিনি খবর পেয়েছেন যে দু-একটি কেন্দ্রে ইভিএমের কারণে ধীরগতিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় নির্বাচন কমিশন বিষয়টি দেখবে এবং সমস্যার সমাধান করবে।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে শহরের ৩০টি ওয়ার্ডের ১৫৫টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে তিনজন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া ১১২ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৪৬ জন সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থী আছেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি