বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: সরকারি চাকরিতে প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণিতে (নবম থেকে ১৩তম গ্রেড) কোনো কোটাই থাকছে না। সরাসরি মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বুধবার (৩ অক্টোবর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে সরকারি চাকরির নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেড পর্যন্ত কোনো কোটা না রেখে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নিয়ম চালু করতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে গঠিত কোটা পর্যালোচনা কমিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সুপারিশ জমা দেয়।
ওই কমিটির সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়ার পর বুধবারের মন্ত্রিসভা বৈঠকে তোলা হয়।
বৈঠকে ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংস্কার/বাতিলে’ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, কমিটির রিপোর্ট মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। তিনটি সুপারিশ ছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ, কোটা বাতিল এবং কোটা বাতিলের ফলে বিদ্যমান জনগোষ্ঠীর বিষয়ে যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
মন্ত্রিসভা সচিব কমিটির তিনটি সুপারিশই অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে শফিউল বলেন, যদি কখনও অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জন্য কোটার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, তবে সরকার তা করতে পারবে।
তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির (১৪তম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেড) নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বহাল থাকবে বলেও জানান তিনি।
সচিব বলেন, আজ-কালের মধ্যে আমরা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে। আশা করছি দুই-তিন দিনের মধ্যে (প্রজ্ঞাপন) হয়ে যাবে। প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে এটা কার্যকর হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৩৮, ৪০তম বিসিএস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত নির্দেশনা অনুসারে হবে।সূত্র: পরিবর্তন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস