বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:০৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
যাত্রাবাড়ীতে বিপন্ন প্রজাতির হনুমান পাচারের সময় গ্রেপ্তার ২ ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করিয়েছিলেন টিউলিপ: রিপোর্ট কামরুল-পলকসহ ৫ জন নতুন মামলায় গ্রেফতার বেনজীরের স্ত্রী ও মেয়ের আয়কর নথি জব্দের আদেশ ভৈরব থানার লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অবশেষে মায়ের বুকে ছেলে পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৯ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের অনশন বাঘাবাড়ী নৌবন্দর নাব্য সংকট, ভিড়তে পারছে না জাহাজ নিয়োগ দুর্নীতি : ওয়াসার তাকসিমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা নির্বাচন সংস্কারে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের ১১ প্রস্তাব লন্ডনে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া ট্রাম্পের মানচিত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অঙ্গরাজ্য কানাডা ২০২৪ সালে সড়কে নিহত ৭ হাজারের বেশি : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযানের হুমকি তুরস্কের টিসিবির নতুন চেয়ারম্যান ব্রি. জেনারেল ফয়সাল আজাদ একনেকে ৪ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন ঢাকায় ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেন ডিএমপি কমিশনার বিডিআরের নিরপরাধ সদস্যদের মুক্তির দাবিতে পদযাত্রায় পুলিশের বাধা রায়েরবাজারে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন আসিফ মাহমুদ

প্রতিদিন শিশুটিকে পুলিশ সদস্যই বাসে তুলে দিতেন

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ৬ জুন, ২০১৬
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, চট্রগ্রাম: পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেন প্রতিদিন সকালে এসে বাচ্চাটিকে স্কুলবাসে তুলে দিতেন। গত শনিবার রাতে তাঁকে ফোন করা হয়নি। এ জন্য রোববার তিনি আসেননি। ফলে মা মাহমুদা খানমের সঙ্গেই কাল বাসা থেকে বের হয়েছিল সে। পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

বাবুল আক্তারের বাসার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন পুলিশের কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেন। বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম খুন হওয়ার খবর শুনে সাদ্দাম ছুটে যান ওই বাসায়। শিশুটিকে কোলে নিয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি। চিৎকার করে বলতে থাকেন, কেন তাঁকে ফোন করা হয়নি। কেন ভাবি (মাহমুদা) তাঁকে আসতে বললেন না।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যায় ওই বাসা থেকে পুলিশ লাইনে গিয়েছি। শনিবার রাতে কেন ভাবি আমাকে ফোন করলেন না। সকালেও কেন জানালেন না। আমি যদি আসতাম তাহলে হয়তো ভাবি বেঁচে যেতেন। আজ সকালে আমি কেন বাসায় আসলাম না…।’

মাহমুদা খানমের এমন মৃত্যুর জন্য নিজেকে কিছুতেই ক্ষমা করতে পারছিলেন না এই পুলিশ সদস্য। অন্যরা সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁর কান্না থামছিল না। সকাল নয়টার দিকে তিনি যখন আক্ষেপ আর আহাজারি করছিলেন, এর দুই ঘণ্টা আগে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ও গুলিতে খুন হন মাহমুদা খানম। ঘটনাস্থল থেকে ওই বাসার দূরত্ব বড়জোর ১০০ গজ।

চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন বাবুল আক্তার। পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দেন।

তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন চট্টগ্রামে। স্ত্রী নিহত হওয়ার পর সকাল সাড়ে ১০টায় র‍্যাবের হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইনস মাঠে নামেন তিনি। সেখান থেকে সহকর্মীরা তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। তাঁকে জানানো হয় স্ত্রী মাহমুদা গুরুতর অসুস্থ।

কিন্তু সহকর্মী ও স্বজনদের কাঁদতে দেখে বাবুল আক্তার বুঝতে পারেন, তাঁর স্ত্রী আর নেই। জঙ্গি দমনে সাহসিকতার পরিচয় দেওয়া এই পুলিশ কর্মকর্তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলেন না সহকর্মীরা।

বাংলা৭১নিউজ/এসকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com