বাংলা৭১নিউজ, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার সান্তাহারে সড়ক ও জনপথ কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কারখানা এলাকার বিপুল সংখ্যক গাছ কেটে বিক্রি করাসহ নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতি করার উঠা অভিযোগ তদন্ত করা হয়েছে ।
জানাযায়, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঠিকাদারদের মন্ত্রী ও উর্ধতন কর্মকর্তা বরাবরে পাঠানো অভিযোগে জানা গেছে, প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম কারখানায় যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম ও দূর্নিতী করে আসছেন। তিনি সরকারী কোন নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে কারথানা এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক বনজ ও ফলদ গাছ কেটে স্থানীয় ইটভাটায় বিক্রি করেন। তাঁর বিরুদ্ধে নিজস্ব ঠিকাদার দিয়ে কারখানা বিভাগের একাধিক কাজ করে নেয়াসহ ।
চলতি অর্থ বছরের প্রথম বরাদ্দ পাঁচ লাখ ৩৬ হাজার ও দ্বিতীয় বরাদ্দের পাঁচ লাখ ৮৪ হাজার এবং চার লাখ ১৭ হাজার টাকার কাজ কাগজে-কলমে দুই ঠিকাদারকে দিয়ে করিয়ে নিয়েছেন দেখিয়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাত করেনবলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয় । অভিযোগে আরো বলা হয় যে, তিনি বিভিন্ন মেরামত কাজের জন্য যন্ত্রাংশ না কিনে ঠিকাদারদের নিকট থেকে অর্থ নিয়ে আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে কারখানা এলাকায় থাকা দুটি পুকুরের মাছ বিক্রি করে সুমদয় অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি কারখানার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামদি ভাড়া দিয়ে ভাড়ার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের নানা অনিয়ম ও দূর্নিতীর সুষ্ঠ তদন্তের জন্য ওই বিভাগের ঠিকাদারদের স্বাক্ষরিত একটি আবেদন পত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সড়ক ও জনপথ যান্ত্রিক কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার তদন্তকারি দলের নিকট কারখানা এলাকার ভিতরে থাকা প্রায় শতাধিক ফলজ ও বনজ গাছ অবৈধ ভাবে কেটে লোপাট করার সংক্রান্ত অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বলে জানা গেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের মেকানিক্যাল বিষয়ক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ২ সদস্যের তদন্ত দল শুক্রবার সরেজমিন তদন্ত করেন।
এদিন সকাল ৮টায় আসার কথা থাকলেও তাঁরা আসেন ১০টার পর। সান্তাহার সওজ যান্ত্রিক কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া শতাধিক ফলজ ও বনজ গাছ কেটে লোপাট করা ছাড়াও রাতের আঁধারে দু’টি পুকুরের মাছ মেরে বিক্রি, নিজে ঠিকাদারী করা ও মোটা অংকের ঘুষ গ্রহন সহ নানা অভিযোগ করা হলেও এদিন তদন্ত দল শুধু গাছ টাকা বিষয়ে তদন্ত করেন। অপর অভিযোগ গুলোর তদন্ত অন্য তদন্ত দল দিয়ে করা হবে বলে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তদন্তকারি দলের প্রধান অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল) রফিকুল ইসলাম।
তদন্ত দলের অপর সদস্য হলেন, বগুড়ার তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ জামাল হোসেন। এদিকে, অভিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামকে এক মাসের মধ্যে অন্যত্র বদলী করার প্রতিশ্র“তি দিয়ে তদন্তকারিদল ঠিকাদারদেরকে শান্ত থেকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারি ঠিকাদারদের অন্যতম শ্রী রামু প্রসাদ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস