শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার! হাইকোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লামায় অগ্নিসংযোগ: ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপদেষ্টা-প্রশাসন নসরুল হামিদের ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ, অস্বাভাবিক লেনদেন ৩১৮১ কোটি তিন উপদেষ্টাকে বিপ্লবী হতে বললেন সারজিস আলম জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা কোরিয়া থেকে ৬৯৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার সাভারে বন্ধ টিএমআর কারখানা চালুর নির্দেশনা উপদেষ্টার দুদকের সাবেক কমিশনার জহুরুল হকের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ায় কোহলিকে আইসিসির শাস্তি শেখ হাসিনা-শেখ রেহানার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি ফখরুলের ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত প্রাণ এএমসিএলের ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বাদ যাচ্ছে ১১১৮৬ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বিমানের সিটের নিচে মিলল ২০ সোনার বার, যাত্রী আটক ‘পিলখানা হত্যায় নিরপেক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র চিহ্নিত করা হবে’ চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস

পেঁপে চাষে আগ্রহ বাড়ছে লামার কৃষকদের

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৬
  • ৪৬৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, বান্দরবান: বিষাক্ত তামাকের বদলে পেঁপে চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন বান্দরবানের লামা উপজেলার অনেক কৃষক। পাহাড়ে উৎপাদিত পেঁপের গুনাগুন ও স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় দেশের অন্যান্য জেলা-উপজেলায় এর চাহিদা বেশি।

স্থানিয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠি ও বাঙ্গালিরা উপজেলার বিভিন্ন পাহাড় ও সমতল জমিতে পেঁপের আবাদ করেছে। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বানিজ্যিকভাবেও এটির ব্যাপক চাষ হচ্ছে। সরকারি কিংবা বেসরকারি সহযোগিতা পেয়ে কৃষকরা তামাক চাষ বাদ দিয়ে এ চাষে আরো বেশি ঝুঁকবেন।

পার্বত্য এলাকার পাহাড়ে কিংবা সমতলে সারা বছরই পেঁপের চাষ করা যায়। ফলে বারো মাসই এ সবজি বা ফল হিসেবে পাওয়া যায় এখানকার হাট-বাজারে। পেঁপে চাষ করে চাষিরা নিজের পরিবারে পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে বাজারজাত করছে।

লামা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেশের বেশির ভাগ মানুষ পুষ্টির অভাব পূরণে শাকসবজি ও ফলমূলের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে এখন পাহাড়ে সারা বছরই পেঁপের চাষ করা হচ্ছে। পাহাড়ি এলাকার আবহাওয়া ও মাটি পেঁপে চাষের উপযোগি।

পেঁপে শুধুমাত্র ফল হিসেবে নয়, সবজি হিসেবেও এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এতে আছে প্রচুর ক্যারোটিন ও ভিটামিন সি। পাহাড়ী পাথুরে-বেলে মাটিতে পেঁপের চাষ ভালো হয়। সে হিসেবে ৪০ শতক জমিতে বছরে প্রায় ৫ হাজার থেকে দশ হাজার টি পেঁপে উৎপাদন হয়। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পাহাড় ও সমতলের প্রায় ১০ একর জমিতে পেঁপের চাষ হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ফাতেমা জান্নাত বলেন, অজীর্ণ, কৃমি সংক্রমণ. আলসার, ত্বকে ঘা, একজিমা, কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা, ডিপথেরিয়া, আন্ত্রিক ও পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রভৃতি রোগ নিরাময়ে কাঁচা পেঁপের পেপেইন অতি উপকারি। এছাড়া পেঁপের আঁঠা/ক্ষির ও বীজ ক্রিমিনাশক ও প্লীহা যকৃতকে সতেজ রাখে।

লামা উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নুরে আলম জানান, পেঁপের বিভিন্ন জাত রয়েছে। এর মধ্যে এই এলাকায় স্থানীয় পেঁপে বেশি চাষ হয়। এছাড়া বানিজ্যিক ভিত্তিতে উচ্চ ফলনশীল শাহী, থাইল্যান্ডীসহ আরো কয়েক প্রজাতির পেঁপে চাষ করছেন অনেকে। উচুঁ ও মাঝারি উচুঁ উর্বর দো-আশ মাটি পেঁপে চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো।

এছাড়া পরিচর্যা করলে সব ধরণের মাটিতেই চাষ সম্ভব। কার্তিক মাসের মাঝামাঝি থেকে পৌষ মাসের মাঝামাঝি এবং মাঘ মাসের মাঝামাঝি থেকে চৈত্রমাসের মাঝামাজি সময় পেঁপের বীজ বোনার উপযুক্ত সময়। শাহী পেঁপে সারা বছরই চাষ করা যায়। বীজ থেকে চারা তৈরি করা যায়।

পলিথিনে চারা তৈরি করলে, দেড় থেকে দু’মাসের মধ্যে রোপনের পর চারা দ্রুত বৃদ্ধি পায় বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানাযায়। চারা রোপনের ১৫ দিন আগে গর্তের মাটিতে সার মেশাতে হয়। পানি নিকাশের জন্য দুই সারি মাঝখানে ৫০ সে:মি: নালা রাখতে হয় (সমতল জমিতে)। কৃষকদের মতে গুনগত মানসম্পন্ন ভালো ফলন পেতে যতটুকু সম্ভব সার প্রয়োগ করতে হবে।

মাটি পরীক্ষা করে এর ধরণ অনুযায়ী সার ব্যবহার করা উচিত। এ ক্ষেত্রে জৈব সার ব্যবস্থাপনা উত্তম। স্থানিয় কৃষকরা আক্ষেপ করে বলেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কোন সহযোগিতা আমরা পাইনা। ফলে রোগ বালাইয়ের সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক কৃষি বিভাগের লোকেরা হাজির হন না।

এ ব্যাপারে লামা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ নুরে আলম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের জনবল কম থাকায় কৃষকদের যথাযত সার্পোট দিতে পারছিনা, আমরা এ সমস্যা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি। রুপসিপাড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের কৃষক নুরুল ইসলাম জানান, প্রতি একর পেপে চাষে ২৫ হাজার টাকা মূলধন বিনিয়োগ করতে হয়। ব্যাংক, এনজিও বা নিকটাত্মীয়দের থেকে সুদের উপর ঋণের টাকা নিয়ে স্থানীয় কৃষকরা পেঁপে চাষ করছেন।

তিনি আরো বলেন, এই এলাকায় প্রশিক্ষন ও সরকারি সহজ শর্তে ঋণসহযোগিতা পেলে কৃষকরা পেঁপে চাষ করে স্বাবলম্বি হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পরিবেশ ও কৃষিশিল্প বান্ধব কৃষকদের এ দাবি পুরণে সরকার বা কোন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসার আহবান জানান তারা।

বাংলা৭১নিউজ/এইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com