সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
প্রধান উপদেষ্টা নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট, ওএসডি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব তলব ভারতে পালানোর সময় সাবেক ভূমিমন্ত্রী আটক শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী গ্রেফতার টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে ভারত সরকারের প্রতি জি এম কাদেরের ত্রাণ সহায়তার আহ্বান ডেঙ্গুতে আরো ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২২৫ বাজার মনিটরিংয়ে টাস্কফোর্স গঠন হচ্ছে : আসিফ ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম, পিস ৭.৫ টাকা কোনো নিরাপত্তাঝুঁকি নেই, নির্বিঘ্নে পূজা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সুদ মওকুফ করে ঋণ রিশিডিউল করার দাবি চামড়া ব্যবসায়ীদের ১০০০ আইটি ইঞ্জিনিয়ারকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় জাইকা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিডি দুই জাহাজে অগ্নিকাণ্ড: নৌ-মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন অভ্যুত্থানে ১০৫ শিশু নিহত, প্রত্যেক পরিবার পাচ্ছে ৫০ হাজার টাকা ক্রিকেটার ছদ্মবেশে শ্রমিক নেওয়ার অভিযোগে ২১ বাংলাদেশি আটক ইসরায়েলি হামলা হলে জবাব দিতে পরিকল্পনা প্রস্তুত ইরানের সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব আমিনুল গ্রেপ্তার অনুমাননির্ভর কোনো কথা বলতে চাই না: সাখাওয়াত হোসেন

পূর্ণিমার জোয়ারে ভাসল ফসল, কৃষক দিশেহারা

বরগুনা প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

বিষখালী নদীর কোলঘেঁষা বরগুনার বেতাগী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রামের রাস্তা গত পূর্ণিমার জোয়ারে ভেঙে যায়। উত্তর বেতাগীর এ রাস্তার ভাঙা অংশে পূর্ণিমার জোয়ারের অতিরিক্ত পানি প্রবেশ করায় কৃষকদের উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে মরিচ, বাদাম, মুগডাল ও বোরো ধানের বীজতলা। উঠতি ফসল ঘরে তুলতে না পারায় চরম হতাশা ও দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন চাষিরা।

সরেজমিনে ভুক্তভোগীদের সাথে আলাপচারিতায় জানা গেছে, গত এক বছর আগে বেতাগী পৌরসভার ১ নম্বর  ওয়ার্ডের বিষখালী নদীর পাড় ঘেঁষা গ্রামীণ জনপদের রাস্তা তৈরি হয়েছিল। গত পূর্ণিমায় জোয়ারে বিষখালী নদীর পানির চাপে তা ভেঙে যায়। অতিরিক্ত পানিতে তলিয়ে যায় পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আংশিক এলাকা এবং বেতাগী সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঝোপখালী গ্রামের আংশিক এলাকা। এছাড়া পানির নিচে তলিয়ে গেছে বোরো ধানের বীজতলা, মুগডাল, বাদাম , ঢেঁড়স, পুঁইশাক, ডাঁটাশাক, করলা, শসা ও মরিচ।

মাঠ ভরা ফসলে কৃষকের স্বপ্নও ছিল অনেক। সময় অনুযায়ী আর ১০-১৫ দিনের মধ্যে এসব ফসল ঘরে তোলা যেতো। ফসল বিক্রির টাকায় ধার-দেনা পরিশোধ হতো। কিন্তু কৃষকের সেই সোনালী স্বপ্ন আর পূরণ হলো না।  

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অফিসসূত্রে জানা গেছে, রাস্তা ভেঙে জোয়ারের পানির নিচে রয়েছে ৭৫ হেক্টর ইরি ধানের  বীজতলা, ৫৫ হেক্টর চিনাবাদাম, ৭০ হেক্টর মরিচ, ৩৫ হেক্টর মুগডাল ও ৭৪ হেক্টর জমির পুঁইশাক, ডাঁটাশাকসহ বিভিন্ন প্রজাতির শাক-সবজি।

বেতাগী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক বেল্লাল হোসেন জানান, বোরো ধানের বীজ বপনের পরই পানিতে ডুবে যায় এবং ১০-১২ দিন পানিতে বীজতলা তলিয়ে থাকায় বীজতলা পচন ধরছে।   

উত্তর বেতাগী গ্রামের আব্দুল খালেক হাওলাদার বলেন, মুগডাল, মরিচ ও বাদাম ক্ষেতে রয়ে গেছে। সব নষ্ট হয়ে গেছে। এতো ক্ষতি কী দিয়ে পূরণ করবো! একই কথা বললেন উত্তর বেতাগী গ্রামের কৃষক মো. নাসির উদ্দিন। তিনি জানান, ধারদেনা করে মূখডাল, বাদাম ও করলা চাষ করা হয়েছে। কিন্তু ফসল তোলার কয়েকদিন পূর্বে পানিতে নষ্ট হয়ে গেলো।  

এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, কৃষকদের কাছে উপ-সহকারী কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পানি অপসারিত না হওয়ায় ফসল নষ্ট হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে জেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে তথ্য প্রেরণ করা হবে।  

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুহৃদ সালেহীন বলেন, রাস্তা ভেঙে বিষখালীর পানিতে ফসলের মাঠ তলিয়ে গছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বলে শিগগিরই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার  উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com