সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আমি কোনো দুর্নীতি করিনি : মাদকের ডিজি শুধু মেগা প্রজেক্ট নয়, সবুজায়ন বাড়াতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা বিশ্বের প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা শেরপুরে কমছে নদ-নদীর পানি, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি কর্মচারী হত্যায় হাজী সেলিমসহ ৩ জনকে গ্রেফতার দেখানো হলো করাচি বিমানবন্দরের পাশে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ২ চীনা নাগরিক পূজায় জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই: আইজিপি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ, পিটিআইয়ের নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা এস আলম পরিবারের ১৩ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে হত্যা মামলায় ওসি গ্রেপ্তার সিন্দুকের ভেতর শাশুড়ির মরদেহ, পুত্রবধূ আটক বাংলাদেশ রিটেইল অ্যাওয়ার্ড পেল বিকাশ ২০ বছরের ছোট সারার সঙ্গে রণবীরের রোমান্স, হতাশ নেটিজেনরা রনি হত্যা : ৩৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি নুর ইসলাম গ্রেপ্তার রূপালী সঞ্চয়-ঋণদান সমবায় সমিতির এমডি-ম্যানেজার গ্রেপ্তার মুক্তাকিম বিল্লাহ হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন সেতু বিভাগের সচিব হলেন ফাহিমুল ইসলাম ইসরায়েলি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ

পুলিশ পরিদর্শক হত্যা: আরাভ খানের বিরুদ্ধে ২০ জনের সাক্ষ্য

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:
  • আপলোড সময় রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলায় আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্য দিয়েছেন তৎকালীন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম নবী। এ মামলায় ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল আতিক বিন কাদেরের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। তিনি তিনজন আসামি ও দুজন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবী তাকে জেরা করেন। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১০ মার্চ দিন ধার্য করেন।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সুরাইয়া আক্তার কেয়া, রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হাসান ও দিদার পাঠান। এদের মধ্যে আরাভ ও কেয়া পলাতক।

২০১৮ সালের ৭ জুলাই বনানীতে খুন হন পুলিশ পরিদর্শক মামুন। ঘটনার তিন দিন পরে তার ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় রহমত উল্লাহ, রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে হৃদিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

মামলার চার্জশিটে বলা হয়, বনানীর ২ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাসায় নিয়ে আসামি দিদার, স্বপন, রহমত উল্লাহ পুলিশ কর্মকর্তা মামুনের হাত-পা বেঁধে ফেলেন। পরে ওই তিন আসামির সঙ্গে মিজান, আতিক ও ছারোয়ার যুক্ত হয়ে মামুনকে নির্দয়ভাবে মারতে থাকেন। এতে মামুন অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

রাত ১০টার দিকে আসামি কেয়া (রবিউলের স্ত্রী), আফরিন ও মীম বাসা থেকে চলে যান। রাতের কোনো একসময় সেখান থেকে চলে যান রবিউলও। গভীর রাতে আসামি আতিক আসামি স্বপনকে ডেকে বলেন, দাদা, দেখেন তো পুলিশ কর্মকর্তার হাত-পা কেমন শক্ত মনে হচ্ছে।

ভোরবেলায় তারা নিশ্চিত হন, মামুন মারা গেছেন। মামুন মারা যাওয়ার পর রহমত উল্লাহ সবাইকে বলেন, মরদেহ গুম না করলে তারা সবাই বিপদে পড়ে যাবেন। কারণ, মামুন তার বন্ধু। তিনি মামুনকে ফোন করে ডেকে এনেছেন। রহমত উল্লাহর মোবাইলফোনের শেষ কলটিও তার (মামুন)। তখন স্বপন মোবাইলফোনে রবিউলকে মামুনের মৃত্যুর বিষয়টি জানান। স্বপন বলেন, এখন আমরা কী করবো? আপনি সকালে এখানে আসেন।

চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়, দুটি বস্তা ও একটি সাদা কাপড় নিয়ে বাসার নিচে আসেন রবিউল। তার কাছ থেকে বস্তা নিয়ে বাসার ওপরে যান দিদার। এসময় রহমত উল্লাহ, আতিক ও মিজানকে সঙ্গে নিয়ে বাসার নিচে গিয়ে তার ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি লিফটের দরজার কাছে নিয়ে রাখেন।

সকাল ৭টার দিকে স্বপন, দিদার ও আতিক মিলে মামুনের মরদেহ লিফটে করে নিচে নামান। সবাই মিলে গাড়ির পেছনের অংশে মরদেহ তোলেন। পরে রহমত উল্লাহ ওই গাড়ি চালিয়ে বনানীর রোডে যান। গাড়িতে ছিলেন দিদার, স্বপন ও আতিক। সেখানে রবিউল, তার স্ত্রী আসামি কেয়া, মেহেরুন্নেছা ও মীমকে সঙ্গে নিয়ে একটি মোটরসাইকেলসহ অপেক্ষায় ছিলেন।

পরে সেখান থেকে রবিউলের মোটরসাইকেল অনুসরণ করে রহমত উল্লাহ গাড়ি চালাতে থাকেন। খিলক্ষেতের একটি পাম্পে গিয়ে মোটরসাইকেলে তেল নিয়ে রবিউল ফিরে আসেন। আর গাড়ি নিয়ে রহমতউল্লাহ যান গাজীপুরের দিকে। এসময় রবিউলের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা বলেন দিদার ও স্বপন। গাজীপুরের শিমুলতলীতে দিদার, স্বপন ও আতিক একটি দোকান থেকে ৭ লিটার পেট্রোল কেনেন। রবিউল আসামি স্বপনের মোবাইলফোনে টাকা পাঠান।

পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে উলুখোলা থেকে আবদুল্লাহপুর যাওয়ার পথে একটি বাঁশবাগানে পেট্রোল ঢেলে মামুনের মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর গাড়ি নিয়ে সবাই ঢাকায় ফিরে আসেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com