নারীরা স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকলেও পুরুষেরা এখনো এই ব্যাপারে উদাসীন। এমনকি সমাজে এখনো একটি কথা প্রচলিত যে, পুরুষ মানুষ অনেক বেশি শক্তিশালী হয়। তাই তাদের নিয়ে ভাবার এতটাও প্রয়োজন নেই।
তবে এই ধারণা কিন্তু পুরোপুরিই ভুল। এই সামান্য অবহেলার কারণে পুরুষের নানা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। তাই তাদেরও শরীর ও মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখা খুবই জরুরি।
পরিবারের পুরুষ সদস্যরা তুলনামূলক কায়িক পরিশ্রম একটু বেশি করেন। এতে তাদের শক্তি ক্ষয়ও হয় অনেক বেশি। এছাড়াও অনেকে মদ্যপান, ধূমপান বা অন্যান্য নেশার আসক্ত থাকেন। ফলে দেখা দিতে পারে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্যানসারসহ নানা রোগ ব্যাধি।
এসব থেকে বাঁচতে অবশ্যই আপনাকে ডায়েটে নজর দিতে হবে। শরীরে স্ট্যামিনা বাড়ায় এমন সব খাবার রাখুন ডায়েটে। চলুন জেনে নেওয়া এমন কিছু খাবার সম্পর্কে যেগুলো পুরুষের স্ট্যামিনা বাড়াতে সাহায্য করে-
মুরগির মাংস
মুরগির মাংস প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। শরীর ভালো রাখতে গেলে খেতে হবে প্রোটিন। তাই প্রতিটি পুরুষ মানুষের উচিত ডায়েটে মুরগির মাংস রাখা।
চেরি
চেরিতে রয়েছে ভালো পরিমাণে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণ। ফলে চোট আঘাত কমাতে চাইলে আপনি খেতে পারে চেরি ফল।
চকলেট
চকোলেট আপনার রক্তচাপ কমাতে পারে। সব ধরনের চকোলেটের মধ্যে ডার্ক চকোলেটে বেশি ভালো।
মিক্সড ভেজিটেবল
সবজির কোনো বিকল্প নেই। এর মধ্যে থাকা ভালো পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল শরীর ভালো রাখতে পারে। এমনকি এরমধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্ন রোগ থেকে মানুষকে রাখতে পারে দূর। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই খেতে হবে এই মিক্সড ভেজিটেবল।
কফি
কফির মধ্যে রয়েছে ক্যাফিন। এই ক্যাফিন শরীরকে চাঙ্গা রাখে। এমনকি মন বালো রাখা থেকে শুরু করে মাথাব্যথা দূর করার মতো কাজও করতে পারে কফি। তবে দিনে ২-৩ কাপের বেশি কফি খেতে যাবেন না। তাতে সমস্যা বাড়তে পারে।
ফ্যাটি ফিশ
মাংসের ফ্যাট শরীরের জন্য ক্ষতিকর হলেও মাছের ফ্যাট খাওয়া ভালো। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছের ফ্যাট হার্টের রোগের ঝুঁকি কমায়।
আদা
শুধু মসলা হিসেবে নয়, প্রাচীন আয়ুর্বেদে আদার ব্যবহার হয়ে আসছে। আদার মধ্যে রয়েছে ভালো পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। পাশাপাশি আদাতে থাকা অন্যান্য পুষ্টি উপদান শরীরকে নানা সমস্যা থেকে বাঁচায়।
দুধ ও দই
দুধে রয়েছে ভালো পরিমাণে প্রোটিন। এছাড়া ভিটামিন এ, ক্যালশিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই পানীয় আপনার শরীর সুস্থ রাখতে পারে। এবার দুধের পাশাপাশি দইও আপনাকে খেতে হবে। কারণ দইতে থাকা ভালো পরিমাণে প্রোবায়োটিক অনেক সমস্যার করতে পারে সমাধান।
কলা
কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এই পটাশিয়াম পারে পেশি ও হাড়ের সমস্যা দূর করতে। পাশাপাশি কলা খেলে শরীররে মেলে ভালো পরিমাণে শক্তি। এমনকি দেখা গিয়েছে, ব্লাডপ্রেশার কমাতে চাইলেও আপনার হাতিয়ার হতে পারে কলা। তাই নিয়মিত কলা খেতে পারেন।
সূত্র: ওয়েবএমডি
বাংলা৭১নিউজ/এমবি