টানা পাঁচ কার্যদিবস পতনের পর বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচক কিছুটা বেড়েছে। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
দিনের লেনদেন শেষে সবকটি মূল্য সূচক বাড়লেও এদিন লেনদেনের প্রথমদিকে সূচক ছিল নিম্নমুখী। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় লেনদেন শুরুর আধাঘণ্টার মধ্যে প্রধান সূচক ১১ পয়েন্ট পড়ে যায়। তবে শেষ দিকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ে। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮৪৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৬৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সবগুলো সূচকের এই উত্থানের দিনে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৫৪ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৩৫টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৫টির দাম।
বাজারে লেনদেন হয়েছে ৯৬৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় এক হাজার ১১২ কোটি তিন লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৪৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ৬৩ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ৩৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৫ কোটি ৬১ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, বেক্সিমকো, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স এবং ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৮ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৫৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৫টির দাম বেড়েছে। কমেছে ১০১টির এবং ৫০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এএম