দেশের পুঁজিবাজারের একটি ‘অস্বাভাবিক ভবিষ্যৎ’ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) সহযোগিতায় সংগঠনটির সদস্যদের জন্য বিএমজেএফ কার্যালয়ে দুদিনের এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিএসইসি কমিশনার বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারের প্রশংসা করা যায় এমন ব্যাপক বিষয় আছে। পুঁজিবাজারের একটি অস্বাভাবিক ভবিষ্যৎ আছে বলে আমি মনে করি। আমি ‘অস্বাভাবিক’ কথাটি ইচ্ছা করেই বলেছি।
এসময় তিনি ‘অস্বাভাবিক ভবিষ্যতের’ বিষয়ে ব্যাখ্যা করে বলেন, আমাদের এগিয়ে যেতে হলে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। অনেক সময় আপনারা পত্রপত্রিকায় লেখেন, যে হ্যাডলাইন দেন, সেখানে হয়তো দেখি শব্দ চয়নটা ভিন্ন হয়েছে। এটা একটা উদাহরণ।
তিনি আরও বলেন, এই যে একটু আগে আমি অস্বাভাবিক বলেছি, বিষয়টি এরকম। একটি বিষয় আপনি সুন্দর করে বলতে চাচ্ছেন, কিন্তু শব্দ চয়নের গুণগত ভিন্নতা থাকার কারণে শব্দার্থটা ভিন্ন হচ্ছে। এজন্য আমি আপনাদের বলবো, শুধু শব্দ চয়ন নয়, যে বিষয় নিয়ে বলছেন সেটির সম্পর্কে আরও শিখবেন, আরও জানার চেষ্টা করবেন।
এদিন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশ নেন। ওই বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আইএমএফ সুন্দর একটি পুঁজিবাজার নিয়ে খুবই আশাবাদী। তাদের এ আগ্রহগুলোকে আমরা আরও প্রমোট করার অনুরোধ করবো। এজন্য আপনাদেরও অনুরোধ করবো, সবাই হয়তো আগ্রহী হবেন না, তবে কেউ কেউ যারা আগ্রহী তারা যেন দেশের বাইরেও আমাদের পুঁজিবাজারকে উপস্থাপন করেন। পুঁজিবাজারের প্রসংশা করার মতো অনেক কিছু আছে।
তিনি আরও বলেন, প্রশিক্ষণের জন্য আমাদের বিআইসিএম আছে, বিএএসএম আছে। এছাড়া ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি ডিভিশন আছে। দুটি স্টক এক্সচেঞ্জ আছে। তাদের ট্রেনিং রিসোর্স পারসন আছে। তাদের দিয়ে আমরা ভালো ভালো কাজ করবো।
বিএসইসির এ কমিশনার আরও বলেন, সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এগুলো জানা যেমন দরকার, তেমনই কীভাবে সংবাদ পরিবেশেন করতে হবে সেটিও জানার জন্যও প্রশিক্ষণ দরকার। আমাদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করার পরিকল্পনা আছে। একথা বলার অর্থ হচ্ছে, আমরা পারস্পরিক সহযোগিতায় আরও ভালোভাবে এগোতে চাচ্ছি।
সিএমজেএফ সভাপতি হাসান ইমান রুবেলের সবাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইসিএমর নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তারসহ অন্যান্যরা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ