ভারতের ওড়িষ্যা উপকূল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। এমনকি উপকূলীয় এলাকার নদ-নদী পানির উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে নদীর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার রাঙ্গাবালী, কলাপাড়া ও গলাচিপার অর্ধশতাধিক গ্রাম। গত সোমবার থেকে পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে যে কোনো সময় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া আশঙ্কা রয়েছে। তাই পটুয়াখালীর পায়রাসহ দেশের সব সমুদ্র বন্দর সমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া সব মাছধরা ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
নিম্নচাপের কারণে উত্তাল রয়েছে বঙ্গোপসাগর
মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, ইতোমধ্যে অধিকাংশ ট্রলার মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ফিরে এসেছে ।
এদিকে গত মঙ্গলবার ভোররাতে বঙ্গোপসাগরের শেষ ফেয়ার বয়া এলাকায় ‘এফবি আনোয়ার’ ও ‘এফবি সুজন’ নামের দুটি মাছ ধরা ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে সিদ্দিক প্যাদা (৫৫) ও সিরাজুল ইসলাম (৫০) নামের দুই জেলে নিখোঁজ হন।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। বাতাসের চাপ বাড়তে পারে। আগামী তিনদিন পর্যন্ত জোয়ারে নদ-নদীর পানির উচ্চতা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।’
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ