পদ্মার পানি বাড়ায় গত কয়েকদিনে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের মুন্সিবাজার এলাকায় ভাঙনে ফসলসহ কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন অব্যাহত থাকায় ফসলসহ জমি হারাচ্ছেন পদ্মাপাড়ের অনেক কৃষক। হঠাৎ ভাঙনের খবরে উদ্বিগ্ন জমির মালিকেরা। এরই মধ্যে অনেক কৃষকের উচ্ছে, পটল, মিষ্টিকুমড়া, মরিচ, ফুলকপি সবজি ও ফসলি জমিসহ চারটি বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
গত তিনদিনে ফসলসহ ২০০ মিটার এলাকা, ফসলসহ কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলীন হলেন ভাঙন রোধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। যে কারণে সোমবার (৭ অক্টোবর) মানববন্ধন ও করেছে এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে শত শত বিঘা ফসলি জমি, স্কুল, কবরস্থান, মসজিদসহ শতাধিক বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
স্থানীয় এক কৃষক বলেন, নদী ভাঙায় এখন আমার নিজের পায়ে দাঁড়ানোর উপায় নাই। ছেলে-পেলে যে কয়টা আছে তাদেরও নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মতো উপায় নাই। তারা কী খাবে? আমরা রিলিফ চাই না, নদীশাসন চাই। গত তিন দিনে কয়েকটি বাড়িসহ বিভিন্ন সবজি খেত নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এমপিরা, চেয়ারম্যানেরা আশ্বাসই দিয়ে গেছেন কেউতো নদীশাসন করেন নাই।
নদী ভাঙনে ঘর হারানো দেবগ্রাম ইউনিয়নের এক বাসিন্দা জানান, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কমিউনিটি ক্লিনিক, বাজারসহ শত শত বসতবাড়ি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। অনেক এমপি, ডিসি এসেছেন কিন্তু সবাই ভাঙন রোধের আশ্বাসই দিয়ে গেছেন। কেউ কাজ করেন নাই।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এম এ শামীম বলেন, গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনের ভাঙনে ২০০ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়েছে। এরইমধ্যে আমরা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। ভাঙনের পরিস্থিতি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা পেলেই কাজ শুরু করবো।
বাংলা৭১নিউজ/এবি