মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:২৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
২ লাখ ৩৮ হাজার বেকারের কর্মসংস্থান করবে বেজা খালেদা জিয়াকে বার্তা পাঠিয়ে যা বললেন জিএম কাদের ইসলামী ব্যাংকের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম উদ্বোধন এলএনজি ও চাল আমদানি, ব্যয় ১০২৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বিমসটেক সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা কবে নাগাদ সব শিক্ষার্থী পাঠ্যবই পাবে জানি না: শিক্ষা উপদেষ্টা ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে আহত ১০০ জন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় শুনানি মুলতবি সচিবালয়ের গেটে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ পাঁচ মাসে আর্থিক স্থিতিশীলতায় খুব বেশি খুশি নয় বাংলাদেশ ব্যাংক জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে ৮ পরিচালক নির্বাচিত রংপুরের বিপক্ষে এবার ঢাকা অলআউট ১১১ রানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে তিব্বতে নিহত বেড়ে ৯৫ স্ত্রী-ছেলেসহ নাফিজ সরাফতের বাড়ি, জমি ও ১৮ ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ৫ যাত্রী নিহত জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ১০০ জনের কর্মসংস্থানের প্রস্তাব

পানির নিচে সোনালী ধান, কৃষকের আর্তনাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২২
  • ৫২ বার পড়া হয়েছে

ভারতের পাহাড়ি ঢলে মেঘনার পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নাসিরনগর উপজেলার হাওড়পারের কৃষকরা।

হাওরাঞ্চরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মেদির হাওর, আকাশি বিল, আটাওরি বিল, বিল বালিঙ্গা, কচরা বিল, ধইল্যা বিল ও খাসারচরের চারদিকে পানি থৈ থৈ করছে। এসব বিলের পানির নিচে তলিয়ে গেছে কৃষকের সোনালী ফসল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপজেলার গোয়ালনগর, ভলাকূট ও সদর ইউনিয়নে।

এছাড়া বুড়িশ্বর, কুণ্ডা, গোকর্ণ ও হরিপুর ইউনিয়নও রয়েছে অধিক ঝুঁকিতে। ওই এলাকার কৃষকের দাবি- গত এক সপ্তাহে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমি তলিয়ে গেছে। ফলে কোথাও হাঁটু পানিতে আবার কোথাও কোমর পানিতে নেমে ডুবে থাকা আধপাকা ধান কাটছেন কৃষকরা। এর মধ্যে অনেক জায়গায় পানির নিচে তলিয়ে থাকা ধানে ধরেছে পচন।

গোয়ালনগর ইউনিয়নের কৃষক মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, আমার চার হেক্টর জমির অধিকাংশ পানির নিচে ডুবে গেছে। যতটুকু সম্ভব বুক পানিতে নেমেও কাটার চেষ্টা করছি।

পানি বাড়তে থাকলে ঐটুকুও কাটতে পারবো বলে মনে হয় না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাইদ তারেক জানান, উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে এ পর্যন্ত ৭০ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। দুই দিনে মেঘনায় প্রায় ৭০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তাই কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে পানি আরও বাড়তে পারে, দ্রুত ফসল কেটে ঘরে নিতে।

তিনি আরও জানান, নাসিরনগরে বিভিন্ন হাওড়ে এ বছর প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে শিলাবৃষ্টি ও মেঘনায় পানি বৃদ্ধির কারণে প্রায় ১০০ হেক্টর ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত আড়াই হাজার কৃষকের নামের তালিকা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ২৫ কেজি করে এককালীন চাল সহায়তা পাবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদি হাসান খান শাওন বলেন, যে সব কৃষকের ধান ৮০ শতাংশ পেকেছে তা দ্রুত কেটে নিতে হবে। দ্রুত ধান কাটার জন্য আমরা সব রকমের চেষ্টা করে যাচ্ছি। এমনকি মসজিদের মাইকেও ঘোষণা করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধান কাটার ব্যাপারে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com