শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার! হাইকোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লামায় অগ্নিসংযোগ: ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপদেষ্টা-প্রশাসন নসরুল হামিদের ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ, অস্বাভাবিক লেনদেন ৩১৮১ কোটি তিন উপদেষ্টাকে বিপ্লবী হতে বললেন সারজিস আলম জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা কোরিয়া থেকে ৬৯৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার সাভারে বন্ধ টিএমআর কারখানা চালুর নির্দেশনা উপদেষ্টার দুদকের সাবেক কমিশনার জহুরুল হকের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ায় কোহলিকে আইসিসির শাস্তি শেখ হাসিনা-শেখ রেহানার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি ফখরুলের ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত প্রাণ এএমসিএলের ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বাদ যাচ্ছে ১১১৮৬ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বিমানের সিটের নিচে মিলল ২০ সোনার বার, যাত্রী আটক ‘পিলখানা হত্যায় নিরপেক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র চিহ্নিত করা হবে’ চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস

পাটে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০১৭
  • ১২৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, মাগুরা: মহম্মদপুর উপজেলা সদর থেকে ধোয়াইল হয়ে বালিদিয়া ইউনিয়নের গ্রামের পাশের সড়ক ধরে রাজাপুর। তারপর নহাটা ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে যাওয়ার পথে নজর কাড়ে দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে যত দূর চোখ যায়, ঘন সবুজ পাটের খেত।

মাগুরায় এবার পাটের ভালো ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগ জানায়, মাগুরা দেশের অন্যতম পাট উৎপাদনকারি জেলা। খুলনা বিভাগের মধ্যে মাগুরায় সবচেয়ে বেশি জমিতে পাটের আবাদ হয়। আর জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাটের আবাদ হয় সদর ও মহম্মদপুর উপজেলায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পাট গাছগুলো মাথার চেয়েও উচু । এতে দূরের গ্রামের ঘরবাড়িগুলো তেমন দেখা যায় না। মনে হয় পাট খেতের পরে আর কোন গ্রাম নেই।

এলাকার কৃষকরা জানালেন, এ জেলার প্রধান ফসল হলো পাট। পাটের বাজার দরের উপর এখানে গ্রামীণ অর্থনীতির ভালোমন্দ অনেকটাই নির্ভরশীল। পাট নিয়ে কৃষকরা স্বচ্ছলতার স্বপ্ন বুনেন। গতবার ভালো দাম পেয়েছেন। এবারো দামের ব্যাপারে আশাবাদি তারা।

এখানকার বেশির ভাগ জমি দুই ফসলি। চৈত্রের প্রথম দিকে পাটের বীজ বোনা শুরু হয়, কাটা শুরু হয় আষাঢ়ের শেষ দিকে। খালে বিলে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে পাট পচাতে সুবিধা হয়। মাঠে মাঠে পাট কাটা, জাগ দেওয়া, পানিতে ডোবানো, আঁশ ছাড়ানো, রোদে শুকানো আর বাজারে নেওয়া এসব নিয়ে প্রায় দুই মাস ব্যস্ত থাকেন কৃষকেরা। আবার পাট কেটেই বৃষ্টির পানিতে শুরু হয় আগাম আমন ধান রোপণের তোড়জোড়।

বালিদিয়া গ্রামের আইয়ুব আলী, রায়পাশার রোস্তম শেখ, রাজাপুরের সমির বিশ্বাস ও নহাটার আলমগীর হোসেনসহ বেশ কয়েকজন পাটচাষি জানালেন, ‘পাটই তাদের সব। বংশ পরম্পরায় পাট চাষ করছেন তারা। পাট ছাড়া এই মৌসুমে অন্য ফসল তেমন হয় না। পুরো বর্ষায় পাট নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটান তারা ।

কয়েক বছর ধরে পাট পচানোর পানির জন্য কৃষককে পাট নিয়ে দৌড়াতে হয়েছে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। এবার অবস্থা ভিন্ন। মৌসুমের শুরুতেই প্রচুর বৃষ্টি । পাট কেটে খেতের কাছেই জাগ দেওয়া যাচ্ছে।

কৃষকরা জানান, ‘পাটের জমিতেই আমন ধানের আবাদ হবে। বৃষ্টির পানিতেই ধান উঠে যায়। সেচের খরচ লাগে না। তাই অনেকে আগে-ভাগেই পাট কেটে ফেলছেন। স্থানীয়ভাবে এই পাটকে বাঁচকের পাট বলে। দাম ভালই । বাজারে নতুন পাট মানভেদে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ২ হাজার টাকা পাটের মণ হলেই খুশি তারা। কেউ কেউ আবার শ্রমিক সংকট আর শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির সমস্যার কথাও জানালেন।

মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পার্থ প্রতীম সাহা জানান পাট মাগুরার প্রধান ফসল। পাটের আবাদ এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

সদর, মহম্মদপুর, শ্রীপুর ও শালিখা উপজেলায় এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলায় চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪১ হাজার ১০ হেক্টর। চাষ হয়েছে ৪৪ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে।

এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৩ হাজার ৩৭৫ হেক্টর, শ্রীপুরে ১০ হাজার ৩৬৫ হেক্টর, মহম্মদপুরে ১১ হাজার হেক্টর ও শালিখা উপজেলায় ৯ হাজার ৭০০ হেক্টরে পাটের আবাদ হয়েছে।

প্রতি হেক্টরে উৎপাদন হবে ১১ বেল। ১ বেল সমান ১৮৭ কেজি হলেও হিসাবের সুবিধার জন্য ২০০কেজি ধরা হয়। এতে জেলায় ২ লাখ ৪৪ হাজার ২০০মণ পাট উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। দেশি জাতের পাশাপাশি ও-৭২,৯৮ ও ৯৭, বিএডিসি-১ ও উফশী জাত জিআরও-৫২৪ জাতের পাটের আবাদ বেশি হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com