নওগাঁর পত্নীতলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার আমাইড় ইউনিয়নের নালাপুর দক্ষিণপাড়া এলাকায় গতকাল রবিবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার আমাইড় ইউনিয়নের নালাপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের আছির উদ্দিন (৬০) ও একই উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের কৃষ্টরামপুর গ্রামের ফয়জুল ইসলাম (৪৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যার দিকে ফয়জুল ইসলাম নালাপুর মোড়ে যান।
সেখানে ফয়জুলকে দেখে আছির উদ্দিন তাকে পাগল বলে ডাক দেন। এতে ফয়জুল আছির উদ্দিনের উপর ক্ষীপ্ত হয়ে যান। এ নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে ফয়জুল কুড়াল দিয়ে আছির উদ্দিনের পিঠে কোপ দেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পত্নীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর স্বাস্থ্যের অবনিত হলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ফয়জুলকে নালাপুর মোড়ে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে মারপিট করেন স্থানীয়রা। ফয়জুল অজ্ঞান হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে পুলিশ গিয়ে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে পত্নীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আমাইড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ফয়জুলের মাথায় একটু সমস্যা আছে। মাঝে মাঝেই সে অস্বাভাবিক আচরণ করে। গতকাল বিকেলে সে নাকি পার্শ্ববর্তী গ্রাম নালাপুর মোড়ে গিয়েছিল। সেখানে নালাপুর গ্রামের আছির উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ফয়জুল কুড়াল দিয়ে আছির উদ্দিনের পিঠে কোপ মারে। এ দিকে এ ঘটনার পর উত্তেজিত লোকজন ফয়জুলকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন। এতে তার মৃত্যু হয়। ’
পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ঠিক কি কারণে তাদের মৃত্যু হলো তা নিয়ে তদন্ত চলছে। নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের শেষে সোমবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ