মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ঢাকা ছাড়লেন খালেদা জিয়া ২ লাখ ৩৮ হাজার বেকারের কর্মসংস্থান করবে বেজা খালেদা জিয়াকে বার্তা পাঠিয়ে যা বললেন জিএম কাদের ইসলামী ব্যাংকের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম উদ্বোধন এলএনজি ও চাল আমদানি, ব্যয় ১০২৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বিমসটেক সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা কবে নাগাদ সব শিক্ষার্থী পাঠ্যবই পাবে জানি না: শিক্ষা উপদেষ্টা ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে আহত ১০০ জন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় শুনানি মুলতবি সচিবালয়ের গেটে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ পাঁচ মাসে আর্থিক স্থিতিশীলতায় খুব বেশি খুশি নয় বাংলাদেশ ব্যাংক জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে ৮ পরিচালক নির্বাচিত রংপুরের বিপক্ষে এবার ঢাকা অলআউট ১১১ রানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে তিব্বতে নিহত বেড়ে ৯৫ স্ত্রী-ছেলেসহ নাফিজ সরাফতের বাড়ি, জমি ও ১৮ ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ৫ যাত্রী নিহত

পাকিস্তানে মুসলিমদের সহায়তায় খ্রিস্টানদের জন্য চার্চ নির্মাণ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ১২ জুন, ২০১৬
  • ১৪০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ধর্মীয় সহিংসতা ও সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু ধর্মীয় সহিংসতার এই দেশেও অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি হৃদতা ও ভালোবাসার বর্হিপ্রকাশ দেখা যায়।

গোজরা অঞ্চলের একটি গ্রামে মুসলিম দরিদ্র কৃষকেরা তাদের আয় থেকে কিছু অংশ জমিয়ে প্রতিবেশী খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য চার্চ নির্মাণে সাহায্য করেছেন। ইজাজ ফারুক এই গ্রামের একজন বাসিন্দা তিনি প্রতিদিন মসজিদে নামাজ পড়ার পর চার্চে যান। খ্রিস্টান প্রতিবেশীদের জন্য চার্চ নির্মাণের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে তিনিও একজন।

ফারুক আশা করেন, এই চার্চ নির্মাণের পর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষেরা একসঙ্গে শান্তিতে থাকতে পারবেন, একসঙ্গে প্রার্থনা করতে পারবেন।

পাকিস্তানে যেখানে সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ বারবার হামলার শিকার হয় সেখানে চার্চ নির্মাণের বিষয়টি স্বপ্নের মতো বিষয়।

ইজাজ ফারুক বলেন, “গোজরা দাঙ্গার পর আমরা সবাইকে আরো বেশি কাছাকাছি আনার চেষ্টা করছি। এই চার্চ নির্মাণের মাধ্যমে আমরা দেখাতে চাই যে একটা সম্প্রদায়ে মতো আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ”।

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ফারইয়াল মসিহ বলেন, “ছোটবেলা থেকেই দেখছি ধর্মের উপরেও আছে বন্ধুত্ব। জন্মের পর থেকেই দেখছি আমরা একসঙ্গে বাস করছি ভালোবাসা নিয়ে। একে অপরের বিয়ে উৎসবে যোগ দিচ্ছি। আমরা সুখ-দুঃখ একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি। গোজরায় যা ঘটেছিল তার যেন পুনারবৃত্তি না হয় আমি সেই প্রার্থনাই করি।”

এই গ্রামের খ্রিস্টান অধিবাসীদের জন্য আলাদা কোনও বাড়ি নেই, তারা মুসলিম প্রতিবেশিদের সঙ্গেই বাস করে। ২০০৯ সালে গোজরায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর ধর্মীয় হামলার ঘটনা ঘটে, আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় তাদের চার্চ ও ঘরবাড়ি। ওই হামলায় ১০জন নিহত হয়। এই গ্রামের মানুষেরা সেই সহিংস ভুলেনি। কিন্তু তারা দেখিয়ে দিতে চায় ব্যক্তিগত ভালোবাসা সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে হারিয়ে দিতে পারে।

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com