বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: শিশুকে স্বাস্থ্য সম্মত খাদ্য দেয়া হলে তার আইকিউ’র বিকাশ ঘটে এবং স্কুলের লেখাপড়ায় ভাল করে। পরীক্ষায় এমন খাদ্য গ্রহণকারী শিশুর ফল তুলনামূলক ভাবে ভাল হয় বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
এ গবেষণায় স্বাস্থ্য সম্মত খাবার বলতে শাক-সবজি, ফলমূল, মাছ, পূর্ণ দানাদার এবং কম চিনিযুক্ত খাবারকে বোঝানো হয়েছে।
এতে দেখা গেছে, স্কুলের প্রথম তিন বছর শিশুকে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দেয়া হলে পরীক্ষায় সে তুলনামূলক ভাবে ফলাফল ভাল করে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খায় না যে সব সতীর্থ তাদের তুলনায় এ সব শিশুর পরীক্ষার ফলাফল ভাল হয়।
ইউনিভার্সিটি অব ইস্টার্ন ফিনল্যান্ড এ গবেষণা চালিয়েছে। ১৬১টি শিশুর ওপর এটি চালানো হয়েছে। প্রথম শ্রেণিতে থাকার সময়ে গবেষণা শুরু করা হয়েছে এবং তৃতীয় শ্রেণির শেষ পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।
এ সব শিশুর আর্থ-সামাজিক অবস্থান, দৈহিক ফিটনেস এবং দেহের ধরণের সঙ্গে এই ভাল ফল করার কোনো সম্পর্ক নেই বলে গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন।
অবশ্য, কম চিনিযুক্ত স্বাস্থ্যসম্মত খাবার শিশু মস্তিষ্কে কি ভাবে প্রভাব ফেলে তা এখনো পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেন নি খাদ্য ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্কুলে পড়ুয়া শিশুর খাদ্য নির্বাচনে সতর্ক হওয়া একান্ত ভাবে প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে তা এ গবেষণায় উঠে এসেছে।
শিশু কোনো স্বাদ নিয়ে জন্মায় না, কি ভাবে খাওয়া দাওয়া করানো হচ্ছে তার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয় শিশুর স্বাদবোধ। শৈশব থেকে অভ্যাস করালেই স্বাস্থ্যসম্মত খাবারে অভ্যস্ত হবে শিশু। কথিত স্মার্ট কিড তৈরির ভুয়া শ্লোগানে বিভ্রান্ত করে বাজারে চিনিযুক্ত অনেক মুখরোচক খাদ্য বা পানীয় বিক্রির ব্যবসা বেশ জমে উঠেছে।
এ সব পানীয়র অনেকগুলোই মাত্রাতিরিক্ত মিষ্টি আটার গুড়ার সঙ্গে কিছু ভিটামিনের মিশ্রণ ছাড়া আর কিছুই নয়। জনস্বাস্থ্যের নীতি নির্ধারণে নিযুক্ত ব্যক্তিদেরকে এ সবের বিরুদ্ধে গণ সচেতনতা সৃষ্টিতে এগিয়ে আসতে হবে। শিশু খাদ্য নির্বাচনে মাবাবাকে সচেতন করার নীতি তাদের নির্ধারণ করতে হবে।
বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: পার্সটুডে