বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:১১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
যাত্রাবাড়ীতে বিপন্ন প্রজাতির হনুমান পাচারের সময় গ্রেপ্তার ২ ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করিয়েছিলেন টিউলিপ: রিপোর্ট কামরুল-পলকসহ ৫ জন নতুন মামলায় গ্রেফতার বেনজীরের স্ত্রী ও মেয়ের আয়কর নথি জব্দের আদেশ ভৈরব থানার লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অবশেষে মায়ের বুকে ছেলে পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৯ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের অনশন বাঘাবাড়ী নৌবন্দর নাব্য সংকট, ভিড়তে পারছে না জাহাজ নিয়োগ দুর্নীতি : ওয়াসার তাকসিমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা নির্বাচন সংস্কারে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের ১১ প্রস্তাব লন্ডনে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া ট্রাম্পের মানচিত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অঙ্গরাজ্য কানাডা ২০২৪ সালে সড়কে নিহত ৭ হাজারের বেশি : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযানের হুমকি তুরস্কের টিসিবির নতুন চেয়ারম্যান ব্রি. জেনারেল ফয়সাল আজাদ একনেকে ৪ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন ঢাকায় ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেন ডিএমপি কমিশনার বিডিআরের নিরপরাধ সদস্যদের মুক্তির দাবিতে পদযাত্রায় পুলিশের বাধা রায়েরবাজারে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন আসিফ মাহমুদ

পণ্যের ক্রমাগত মূল্য বৃদ্ধিতে বিপর্যস্ত ক্রেতারা

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা
  • আপলোড সময় রবিবার, ৬ মার্চ, ২০২২
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

মাছে-ভাতে বাঙালি প্রবাদের প্রচলন থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের পাতে যেন ডাল-ভাতেও টান পড়তে চলেছে। আর বাজারে এসে দামের সঙ্গে না পেরে নিজেদের বেহাল দশা তুলে ধরছেন ভোক্তারা। এদিকে দোকানিরা বলছেন, কমেছে ক্রেতা, কমেছে বিক্রিও।

মাছে ভাতে বাঙালি বলা হলেও বাঙালির পাত থেকে মাছ যেন হারাতে বসেছে।

লাগাতার ঊর্ধ্বমুখী দামের আঁচ তাঁতানো মাছের বাজারে। অবশ্য কয়েকদিনে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়ে যাওয়াকে স্বাভাবিকই মনে করছেন বিক্রেতারা। বাজারে পণ্যের দাম বাড়া নিয়ে বিক্রেতারা বলেন, বাজারে ক্রেতাই নেই। অন্যান্য জিনিস কিনতে পকেটে টাকাই থাকে না।

এদিকে বাজারে আসা ক্রেতারা বলেন, মাছে-ভাতে বাঙালি এ প্রবাদ টা অনেক আগেই বাংলাদেশে থেকে চলে গেছে। আমরা ডালে-ভাতে বাঙালি হতে চেয়েছিলাম, তবে সেটাও আমাদের জন্য বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

দুই তিন দিনের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই চিকন চালের দামও বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা। মোটা দানার এক কেজি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। সরকারি হিসাবে এক বছরে বেড়েছে ৩০ টাকা।

বাজারে চালের সংকটের কথা জানিয়ে চাল বিক্রেতারা জানান, মিল মালিকরা বলেছে ধানের সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। আজ তিন দিন যাবত চালের বাজারে বেশ ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। মিনিকেটে কেজি প্রতি প্রায় ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে ও নজিরশাহ চালের কেজি প্রতি ৩ টাকা বেড়েছে।

আর চিনিতে বেড়েছে ২ টাকা। বাড়তি মসলার বাজারও। তাই ডাল ভাতের হিসাব মেলানোও যেন দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্তদের।

পণ্যের ক্রমাগত দাম বাড়ায় বিপর্যস্ত ক্রেতারা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, বাজার তদারকির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান সবচেয়ে খারাপ। দেশে একবার কোনো পণ্যের দাম বাড়লে তার আর কমার কোনো নাম নেই। বাড়ছে তো বাড়ছেই।  

দাম বৃদ্ধির দৌড়ে যেন পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে একেকটি পণ্য। এই দৌড়ে ঘাম ছুটে যাওয়া ভোক্তারা চান বাজারে চাহিদা মতো পণ্যের সরবরাহ, আর কষ্ট করে হলেও নিত্যপণ্যের দাম যেন থাকে তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাবের মধ্যে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com