বগুড়ার শেরপুরে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম শ্রী রিপন রায় (৩০)। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে শহরের সকাল বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযুক্ত রিপন রায় শেরপুর পৌরশহরের বসাকপাড়া মহল্লার শ্রী বিদু রায়ের ছেলে এবং বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক।

এর আগে ধর্ষণের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বিগত চার বছর ধরে ওই তরুণী শহরের উত্তরসাহাপাড়ায় তার নানীর বাড়িতে থাকতেন। দেড় বছর আগে ছাত্রলীগ নেতা রিপনের সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। এরই সূত্র ধরে তার মুঠোফোনের নম্বর নেন রিপন। পরবর্তিতে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। এমনকি রাস্তা-ঘাটেও বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করতে থাকেন। সেইসঙ্গে তার প্রস্তাবে রাজী করার জন্য চাপ প্রয়োগও করা হয়।

একপর্যায়ে ক্ষমতার দাপট ও ভয়ভীতি দেখিয়ে গত ৩০ আগস্ট বিকেলে কৌশলে ওই তরুণীকে নিয়ে বেড়াতে যান। পরে জোরপূর্বক তাকে নেশার ট্যাবলেট খাইয়ে নানীর বাড়িতে নিয়ে যান রিপন। তখন রাত আনুমানিক ৯টা। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নেন রিপন। সেখানে রিপন রায় জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার বাদী ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, ছাত্রলীগের বড় নেতার পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে নেশার ট্যাবলেট খাইয়ে আমার সর্বনাশ করেছে। আইনের আশ্রয় নিতেও বাধার সৃষ্টি করে। এমনকি ঘটনার পর থেকেই প্রায় ১৭ দিন তাকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয় আমাকে। বলা চলে এক রকম গৃহবন্দি অবস্থা। তবে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় থানায় এসে মামলা করেছেন। আমি ন্যায়বিচার চাই।

জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার সাংবাদিকদের জানান, ওই ধর্ষণের ঘটনায় শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে মামলা নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিপন রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া ধর্ষণের শিকার ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর গ্রেপ্তারকৃতকে বগুড়ায় আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

এদিকে, ঘটনাটি সম্পর্কে বক্তব্য জানতে চাইলে থানা হাজতে আটক ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক রিপন রায় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এমনকি এ নিয়ে সাংবাদিকদের কোনো কথা বলবেন না বলে জানান।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ