নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ভেঙেপড়া বিমানের প্রায় সব যাত্রীই নিহত। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ৬৮ যাত্রী ও ৪ ক্রু-র মধ্যে ৬৮ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন ১৫ বিদেশি নাগরিক। ওইসব বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে ছিলেন ৫ ভারতীয়।
পোখরা বিমানবন্দরে অবতরণের ১০-২০ সেকেন্ড আগে বিমানটি ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনায় কয়েক মুহূর্ত আগেই বিমানযাত্রার ফেসবুক লাইভ করছিলেন এক ভারতীয় যাত্রী। তাঁর মোবাইল ক্যামেরায় ধরা পড়েছে দুর্ঘটনার দৃশ্য।
ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে বিমানটি নীচু দিয়ে উড়ছে। নামার কয়েক মুহূর্ত আগের দৃশ্য হওয়ায় বিমানের জানালা দিয়ে নীচে বাড়িঘর দেখা যাচ্ছে। বিমানের ভেতরে যাত্রীরা রয়েছেন বেশ খোস মেজাজে। হলুদ সোয়েটার পরে যে ব্যক্তি ভিডিয়ো করতেন তিনি সফর উপভোগ করছেন বেশ। আচমকাই আলোর ঝলকানি, চারদিক জানালা দিয়ে বাইরে দেখা যাচ্ছে আগুনের ছবি। সঙ্গে কিছু যান্ত্রিক শব্দ। তার পর সব শেষ।
পোখরা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, কাঠমান্ডু থেকে পোখরা ২৫ মিনিটের পথ। উড়ানের ২০ মিনিট পরই সেটি পোখরা বিমানবন্দরের আগে সেতি নদীর তীরে বিমানটি ভেঙে পড়ে। মোট ৩৬টি দেহ পাওয়া যায় নদীর কাছে একটি গর্তে।
দেশের বিভিন্ন শহরকে বিমান পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত করেছে নেপাল সরকার। কিন্তু তা করতে গিয়ে গত কয়েক বছরে একের পর এক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু যাত্রী। ২০১৩ সালেই নেপালের বিমান পরিবহন সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন।
গতবছর মে মাসে এক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন ২২ জন। সেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়ে ৪ ভারতীয়র। ১৯৯২ সালে পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের এক বিমান ভেঙে পড়ে নেপালে। সেই দুর্ঘটনায় নিহত হয় ১৬৭ জন। ফ্লাইট ট্র্য়াকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরেডার২৪ এর দাবি ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ওই বিমানটি ১৫ বছরের পুরনো।
বাংলা৭১নিউজ/সৌজন্যে: জিনিউজ.ইন্ডিয়া.কম