বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ফের ধাক্কা ভারতের। চিনের চারটি বন্দরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হল নেপালকে। নেপালের বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে একথা জানানো হয়েছে। শুধু বন্দরই নয়, চিনের স্থলপথেও এবার বাণিজ্য করতে পারবে নেপাল।চুক্তি হলে নেপাল চিনের তাইঝিন, সেনঝেন, লিয়ানয়ুগাং ও ঝানঝিয়াং বন্দর ব্যবহার করতে পারবে।এতে করে জাপান, কোরিয়া ও উত্তর এশিয়ার দেশগুলি থেকে পণ্য আমদানীর সময় চিনের বন্দর ব্যবহার করলে সময়ও অনেকটা কম লাগবে। খরচও কমবে। বর্তমানে নেপালের পণ্য চলাচল করে কলকাতা ও বিশাখাপত্তনম বন্দর দিয়ে।
চারপাশে হিমালয়ে ঘেরা নেপাল বরাবরই ভারতের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। সেটাই এবার অনেকটাই কমিয়ে ফেলতে চলেছে নেপাল। অর্থাৎ নেপালের বাণিজ্যে তথা আমদানী-রফতানিতে ভারতের একচ্ছত্র অধিকার কিছুটা হলেও শেষের পথে। কাঠমাণ্ডুকে পণ্য চলাচলের জন্য ৪টি বন্দর ব্যবহার করার অনুমতি দিতে চলেছে চিন। এছাড়া, চিনের ৩টি স্থলবন্দরও ব্যবহার করতে পারবে নেপাল। এখন শুধুই লিখিত চুক্তির অপেক্ষা।
২০১৫ ও ২০১৬ সালে সীমান্ত সমস্যার কারণে বেশ কয়েকমাস ধরে নেপালে প্রবল জ্বালানী ও ওষুধের সমস্যা তৈরি হয়েছিল। অত্যাবর্ষকীয় পণ্য চলাচলের জন্য নেপাল কলকাতা ও বিশাখাপত্তনম বন্দরের ওপরে নির্ভরশীল। পরপর দুবছর এনিয়ে সমস্যার পরই নেপাল ভারতের বিকল্প খুঁজতে শুরু করে। শুক্রবার চিন ও নেপালের মধ্যে বন্দর ব্যবহার করতে দেওয়ার ব্যাপার কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েছে বলে নেপালের গণমা্যেমে খবর বেড়িয়েছে। নেপাল চিনের তাইঝিন, সেনঝেন, লিয়ানয়ুগাং ও ঝানঝিয়াং বন্দর ব্যবহার করতে পারবে।
নেপালের বাণিজ্য মন্ত্রকের আধিকারিক রবিশঙ্কর জানিয়েছেন, ভারতের ২টি বন্দরের পাশাপাশি চিনেরও ৪টি বন্দর ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে নেপাল। জাপান, কোরিয়া ও উত্তর এশিয়ার দেশগুলি থেকে পণ্য আমদানীর সময় চিনের বন্দর ব্যবহার করলে সময় অনেকটাই কম লাগবে। খরচও কমবে। বর্তমানে পণ্য চলাচল করে কলকাতা ও বিশাখাপত্তনম বন্দর দিয়ে।
তবে, চিনের ৪টি বন্দর ব্যবহারের অনুমতি পেলেও তার জন্য নেপালকে বড়সড় খরচের মুখোমুখি হতে হবে। কারণ নেপাল থেকে চিনের নিকটতম বন্দরের দূরত্ব ২৬০০ কিলোমিটার।
এর আগে দুই দেশের মধ্যে রেললাইন সংক্রান্ত চুক্তিতেই নেপাল ও চিনের কাছাকাছি আসার ইঙ্গিত মেলে। নেপালের মাটিতে ঢুকতে চলেছে চিনা ট্রেন৷ তিব্বত থেকে আসা এই রেলপথ চালুর বিষয়ে এমওইউ স্বাক্ষর করেছে দুই দেশ৷ গত জুন মাসে চিনা ও নেপালি সংবাদ মাধ্যমে সেই খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করা হয়৷ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের দাবি, ভারতের নাকের ডগায় যেভাবে চিনের ট্রেন ঢুকছে তাতে চিন্তা বাড়বেই মোদীর৷
বাংলা৭১নিউজ/এসএস