মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ঢাকা ছাড়লেন খালেদা জিয়া ২ লাখ ৩৮ হাজার বেকারের কর্মসংস্থান করবে বেজা খালেদা জিয়াকে বার্তা পাঠিয়ে যা বললেন জিএম কাদের ইসলামী ব্যাংকের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম উদ্বোধন এলএনজি ও চাল আমদানি, ব্যয় ১০২৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বিমসটেক সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা কবে নাগাদ সব শিক্ষার্থী পাঠ্যবই পাবে জানি না: শিক্ষা উপদেষ্টা ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে আহত ১০০ জন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় শুনানি মুলতবি সচিবালয়ের গেটে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ পাঁচ মাসে আর্থিক স্থিতিশীলতায় খুব বেশি খুশি নয় বাংলাদেশ ব্যাংক জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে ৮ পরিচালক নির্বাচিত রংপুরের বিপক্ষে এবার ঢাকা অলআউট ১১১ রানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে তিব্বতে নিহত বেড়ে ৯৫ স্ত্রী-ছেলেসহ নাফিজ সরাফতের বাড়ি, জমি ও ১৮ ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ৫ যাত্রী নিহত

নিয়োগ দুর্নীতি: যবিপ্রবির সাবেক ভিসিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

যশোর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

অবৈধভাবে নিয়োগের অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি, নিয়োগ নীতিমালা ও ইউজিসির নির্দেশনা লঙ্ঘন করে নিয়োগ প্রদানের অভিযোগ আনা হয়েছে।

সোমবার (২১ আগস্ট) দুদকের উপ-পরিচালক মো. আল-আমিন বাদী হয়ে যশোরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়টির উপপরিচালক মো. আব্দুর রউফ, সাবেক ভিসি
প্রফেসর ড. মো. আব্দুস সাত্তার ও কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন।

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, আসামি আব্দুস সাত্তার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য কামাল উদ্দিনের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজসে আসামি আব্দুর রউফকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগ দেন। আব্দুর রউফ ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ মোট ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে উত্তোলন বা গ্রহণপূর্বক আত্মসাৎ করার সুযোগ করে দিয়ে সরকারের উক্ত পরিমাণ টাকার
ক্ষতিসাধন করেছেন।

২০০৯ সালে নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদের জন্য আবেদন করেন আসামি ২০ জন প্রার্থী। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে যাচাই সাপেক্ষে ৪ জন প্রার্থীর অনুকূলে মৌখিক পরীক্ষার কার্ড ইস্যু করা হয়। ওই নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সংবিধি অনুযায়ী গঠিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট বাছাই বোর্ডে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ভিসি আব্দুস সাত্তার। এছাড়াও বাছাই বোর্ডে সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত খালেদুর রহমান টিটো, যশোর এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। বাছাই বোর্ড ৩ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করেন।

বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়/সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে আব্দুর রউফের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বাছাই বোর্ড অবৈধভাবে তাকে ওই পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে।

এজহারে আরও বলা হয়, পরবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয় সংবিধি অনুযায়ী ওই নিয়োগের বিষয়টি যবিপ্রবির চতুর্থ রিজেন্ট বোর্ড সভায় এজেন্ডা হিসেবে উপস্থাপিত হয়। ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তার ওই রিজেন্ট বোর্ড সভায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ৫ জন সদস্য ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। সেকশন অফিসার গ্রেড-১ (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন)

পদটি বিজ্ঞাপিত না হওয়া সত্ত্বেও অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকায় আব্দুর রউফকে বিজ্ঞাপিত সহকারী পরিচালকের (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) বিপরীতে সেকশন অফিসার গ্রেড-১ (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের জন্য রিজেন্ট বোর্ড সিদ্ধান্ত দেন।

এতে আরও বলা হয়, আব্দুস সাত্তার নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর তথা প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে থেকে এবং রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি হয়ে যবিপ্রবির অনুমোদিত নিয়োগ নীতিমালা সুষ্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করে আব্দুর রউফ কর্তৃক সেকশন অফিসার গ্রেড-১ (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আবেদন না করা সত্ত্বেও অবৈধভাবে তাকে সুকৌশলে সেকশন অফিসার গ্রেড-১ (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রদান করেন।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০১ এর ৩২ (৩) ধারা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধির ৬(৪) বিধি অনুযায়ী বাছাই বোর্ডের সিদ্ধান্ত ও রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত ভিন্ন হওয়ায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য চ্যান্সেলরের কাছে পাঠানোর বিধান থাকলে ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রফেসর আব্দুস সাত্তার নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর তথা প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে থেকে এবং রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি হয়েও বিষয়টি চ্যান্সেলরের কাছে পাঠাননি। অর্থাৎ তিনি ওই আইন ও সংবিধি সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করে রিজেন্ট বোর্ডের অবৈধ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়টি নিজে নোটশিটের মাধ্যমে অনুমোদন করেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com