মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দেশের শিল্পোন্নয়নে বিটাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে: শিল্পমন্ত্রী উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে: ওবায়দুল কাদের এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৯ বাড়িওয়ালাকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা শেরপুরে আগ্রাসী ব্রহ্মপুত্র, ভাঙনে দিশেহারা নদীতীরের মানুষ দুই ঘণ্টার কোটা আন্দোলনে স্থবির ঢাকা বাংলাদেশ-ইইউর ৩ মি‌লিয়ন ইউরোর ঋণ সহায়তা চু‌ক্তি স্বাক্ষর কুমিল্লা আদালতে মামুনুল হক-খালেদ সাইফুল্লাহ প্রতিমন্ত্রী সিমিনের সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ বিকাশ অ্যাপে প্রথমবার বিল পরিশোধে ৯০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট কুপন জরিমানা পরিশোধ করলেই গাড়ির কাগজ পৌঁছে যাবে ডাক বিভাগে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে জবি শিক্ষার্থীদের অবরোধ চীনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার নিয়ে আ স ম রবের পাঁচ দফা একযোগে র‌্যাবের চার ব্যাটালিয়নসহ পাঁচ পরিচালককে বদলি কোটাবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন নেই, সমর্থন আছে: ফখরুল চুপিসারে ফেরেশতাদের কথা শুনে যা করতো জিনেরা ইউপি চেয়ারম্যান হত্যার ঘটনায় মামলা, আওয়ামী লীগ নেতা আটক বেনজীরের গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাট পরিদর্শনে দুদক টিম সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, যানচলাচল বন্ধ পাঁচ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে যা জানা গেলো

নিয়োগ দুর্নীতি: যবিপ্রবির সাবেক ভিসিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

যশোর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

অবৈধভাবে নিয়োগের অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি, নিয়োগ নীতিমালা ও ইউজিসির নির্দেশনা লঙ্ঘন করে নিয়োগ প্রদানের অভিযোগ আনা হয়েছে।

সোমবার (২১ আগস্ট) দুদকের উপ-পরিচালক মো. আল-আমিন বাদী হয়ে যশোরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়টির উপপরিচালক মো. আব্দুর রউফ, সাবেক ভিসি
প্রফেসর ড. মো. আব্দুস সাত্তার ও কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন।

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, আসামি আব্দুস সাত্তার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য কামাল উদ্দিনের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজসে আসামি আব্দুর রউফকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগ দেন। আব্দুর রউফ ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ মোট ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে উত্তোলন বা গ্রহণপূর্বক আত্মসাৎ করার সুযোগ করে দিয়ে সরকারের উক্ত পরিমাণ টাকার
ক্ষতিসাধন করেছেন।

২০০৯ সালে নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদের জন্য আবেদন করেন আসামি ২০ জন প্রার্থী। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে যাচাই সাপেক্ষে ৪ জন প্রার্থীর অনুকূলে মৌখিক পরীক্ষার কার্ড ইস্যু করা হয়। ওই নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সংবিধি অনুযায়ী গঠিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট বাছাই বোর্ডে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ভিসি আব্দুস সাত্তার। এছাড়াও বাছাই বোর্ডে সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত খালেদুর রহমান টিটো, যশোর এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। বাছাই বোর্ড ৩ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করেন।

বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়/সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে আব্দুর রউফের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বাছাই বোর্ড অবৈধভাবে তাকে ওই পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে।

এজহারে আরও বলা হয়, পরবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয় সংবিধি অনুযায়ী ওই নিয়োগের বিষয়টি যবিপ্রবির চতুর্থ রিজেন্ট বোর্ড সভায় এজেন্ডা হিসেবে উপস্থাপিত হয়। ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তার ওই রিজেন্ট বোর্ড সভায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ৫ জন সদস্য ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। সেকশন অফিসার গ্রেড-১ (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন)

পদটি বিজ্ঞাপিত না হওয়া সত্ত্বেও অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকায় আব্দুর রউফকে বিজ্ঞাপিত সহকারী পরিচালকের (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) বিপরীতে সেকশন অফিসার গ্রেড-১ (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের জন্য রিজেন্ট বোর্ড সিদ্ধান্ত দেন।

এতে আরও বলা হয়, আব্দুস সাত্তার নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর তথা প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে থেকে এবং রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি হয়ে যবিপ্রবির অনুমোদিত নিয়োগ নীতিমালা সুষ্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করে আব্দুর রউফ কর্তৃক সেকশন অফিসার গ্রেড-১ (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আবেদন না করা সত্ত্বেও অবৈধভাবে তাকে সুকৌশলে সেকশন অফিসার গ্রেড-১ (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রদান করেন।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০১ এর ৩২ (৩) ধারা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধির ৬(৪) বিধি অনুযায়ী বাছাই বোর্ডের সিদ্ধান্ত ও রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত ভিন্ন হওয়ায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য চ্যান্সেলরের কাছে পাঠানোর বিধান থাকলে ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রফেসর আব্দুস সাত্তার নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর তথা প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে থেকে এবং রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি হয়েও বিষয়টি চ্যান্সেলরের কাছে পাঠাননি। অর্থাৎ তিনি ওই আইন ও সংবিধি সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করে রিজেন্ট বোর্ডের অবৈধ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়টি নিজে নোটশিটের মাধ্যমে অনুমোদন করেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com