সকালে ঘুম থেকে উঠেই অনেকেই কফির মগে চুমুক দেন। আবার দিনের বিভিন্ন সময়েই শরীরকে চাঙা করে তুলতে আরও দু-তিন কাপ কফি তো পান করেই থাকেন অনেকে!
অতিরিক্ত কফি পান যদিও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়, তবে দৈনিক নির্দিষ্ট পরিমাণে কফি পান করলে শরীর আরও ভালো থাকে। এ বিষয়ে সাম্প্রতিক প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, কফি পানে লিভারের নানা রোগের ঝুঁকি ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
যুক্তরাজ্যের রয়েল সোসাইটি অব মেডিসিনের এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ব্রিটিশ লিভার ট্রাস্টের অভিজ্ঞ পরামর্শক গ্রায়েম আলেকজান্ডার।
এছাড়া ইউরোপের অন্যান্য দেশের লিভার এসোসিয়েশনের অভিজ্ঞ প্রতিনিধিরাও এই গবেষণায় অবদান রেখেছেন।
গবেষকরা কফি পানের সঙ্গে লিভারের সম্পর্ক নিয়ে সাম্প্রতিককালের গবেষণার রিপোর্ট ও এ বিষয়ক অন্যান্য বিষয় ও চ্যালেঞ্জ নিয়েও আলোচনা করেছেন।
গবেষণাপত্র অনুযায়ী, যারা কফি পান করেন না তাদের তুলনায় যারা যারা নিয়মিত কফি পান করেন তাদের মধ্যে লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ কম।
এ বিষয়ে গবেষকরা জানান, নিয়মিত কফি পানকারীদের লিভারে হয়তো এমন কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি হয়ে যায়, যার কারণেই ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।
ব্রিটিশ লিভার ট্রাস্টের প্রধান নিবার্হী জুডি রাইসের মতে, কফি পানে লিভার সিরোসিসের ঝুঁকিও ২৫-৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে বলে।
অধ্যাপক আলেকজান্ডার বলেন, ‘ইউরোপ আমেরিকাসহ পৃথিবীর অন্যান্য অংশে দিন দিন লিভারের জটিলতায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখেছি, কফি সত্যিই আশ্চর্যজনকভাবে লিভারের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
বর্তমানে ক্রনিক লিভার ডিজিজের কারণে প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে বহু সংখ্যক মানুষ মারা যায়। শুধু আমেরিকাতেই প্রতিবছর লিভার সিরোসিসে (লিভারের জটিল অসুখ) আক্রান্ত হয়ে ৩১ হাজার মানুষ মারা যাযন। লিভারের জটিলতায় মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে পুরো বিশ্বজুড়েই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত অ্যালকোহল, ক্যালরি ও ফ্যাট গ্রহণের ফলেই মানুষের লিভারের জটিলতা বাড়ছে। তাই সবাইকে এসব বিষয়ে সতর্ক হতে হবে ও লিভারের সুস্থতা নিশ্চিত করতে হবে।
সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ