বাংলা৭১নিউজ,মোঃ হুমায়ূন কবির,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে উপ-নির্বাচনের রাত পোহালেই (১৩ মার্চ) ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে । ইতোমধ্যেই ভোট গ্রহনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন অফিস। রিটার্নি অফিসার ও কুমিল্লার বিভাগীয় নিবাচন কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধূরী জানিয়েছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করতে আর্ন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন তারা। এদিকে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি দু‘দলেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানা যায়।
কিন্তু সুষ্ঠ নির্বাচনের ব্যাপারে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজোওয়ান আহমেদ। ইসলামী এক্যজোট প্রার্থী মাওলানা এ কে এম আশরাফুল হকও বলছেন অভিন্ন কথা। এই উপনির্বাচনকে ইসির জন্য এসিড টেস্ট হিসেবে দেখছেন তারা। তবে নির্বাচনের রেজাল্ট যাই হোক মেনে নিতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানান, আওয়ামীলীগ প্রার্থী বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
এদিকে প্রধান বিরোধী শক্তি বিএনপি এই উপ-নির্বাচনে অংশ না নিলেও সরকার বিরোধী সেন্টিম্যান্টের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আওয়ামীলীগের প্রতি অনাস্থা জানাতে ভোট দিতে পারে বলে এলাকায় গুঞ্জণ রয়েছে। এই অংশটি এলাকায় সাধারণ ভোটার বলে পরিচিত। দলীয় সমর্থন থাকলেও রাজনীতিতে তারা সক্রিয় নয়। এই নীরব বিপ্লবের ভয়ে আওয়ামীলীগ ভিন্ন চিন্তা করতে পারে বলে রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্র এই ধারণা করচ্ছেন। তবে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলায় নিযোজিত কর্মকর্তারা জানান, কোন উপায়েই নির্বাচনে কাউকে অসুদোপায় অবলম্বন করতে দেয়া হবে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলার অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, সবক‘টি ভোট কেন্দ্রকে আমরা অধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখছি এবং পর্যাপ্ত নিরাপওার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। আনসার সদস্যদের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১০ জন এবং সাধারণ কেন্দ্র গুলোতে চারজন করে পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এর বাইরে সবগুলো কেন্দ্রের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩৯টি ভ্রাম্যমাণ দল এবং প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে থাকবে। এছাড়াও ৭প্লাটুন বিজিবি সদস্য ও প্রতিটি ইউনিয়নে র্যা বের সদস্যরা টহলে থাকবে।
নাসিরনগর-১ আসনের উপ-নির্বাচনের রিটার্নি অফিসার ও কুমিল্লার বিভাগীয় নিবাচন কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধূরী জানান, নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করবেন। আমরা আশা করছি ভোট কেন্দ্রে কেউ কোনো ধরনের ঝামেলা করতে পারবেনা। এখন পর্যন্ত কোন প্রার্থী অনিয়ম হয়েছে বলে আমাদের কাছে কোন লিখিত অভিযোগ করেননি। মৌখিকভাবে অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছি এবং অভিযোগ পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেব। সকলের সহযোগীতায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট উপহার দেয়ার জন্য আমরা সবাই কাজ করে যাচ্ছি। এই আসনে মোট ১৩ টি ইউনিয়ন। ভোটার দুইলাখ ১৪ হাজার ৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ৩ হাজার ৫শ ৯৯ জন ও পুরুষ ভোটার এক লাখ ১০ হাজার ৪শ ১০ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ৭৪ টি। ভোটকক্ষ ৩শ ৬৪ টি।
উল্লেখ্য যে, উপনির্বাচনে তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিয়ে লড়ছেন বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, জাতীয় পার্টির রেজোওয়ান আহমেদ ও ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মাওলানা এ কে এম আশরাফুল হক।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস