বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: দেশে নারী নির্যাতন রোধে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না- অভিযোগ করে বিষয়টিকে ‘দুঃশাসনের প্রতিফলন’ হিসেবে দেখছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী।
আজ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মারুফা আক্তার রূপাসহ দেশব্যাপী নারী ও শিশুর ভয়াবহ নির্যাতনের প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন যেন মহামারি আকার ধারণ করেছে। নির্যাতন জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘরে কিংবা বাইরে এমনকি চলন্ত বাসে অবলীলায় ঘটনা ঘটে যাচ্ছে কিন্তু এ ব্যাপারে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই।’
‘দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে তাদের শাস্তির উদ্যোগ নেই। যদিও দু-একজনকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তারা আবার জামিনও পেয়ে যাচ্ছে’, বলেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যে সরকার দেশের নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেই সরকার কখনো জনবান্ধব সরকার নয়। এদের আচরণের সাথে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের গড়মিল কোথায়?’
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সে দেশের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে রিজভী বলেন, ‘মিয়ানমারের সরকার পরিকল্পিতভাবে জাতিগত নির্মূল অভিযান চালাচ্ছে।’
‘ইতোমধ্যে ৪০০ রোহিঙ্গা যুবককে হত্যা করা হয়েছে, বলা হয়েছে এই সমস্ত যুবকেরা উগ্রবাদী। অথচ নিরপক্ষে পর্যবেক্ষকেরা বলছেন এরা সাধারণ মানুষ, উগ্রবাদী নয়।’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ব্যাপারে আমরা (বিএনপি) ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারকে বার বার বলেছি পদক্ষেপ নিতে, কিন্তু তারপরও সরকার নেয়নি। ব্যর্থ সরকার।’
‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নিতে কুণ্ঠিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, যারা আশ্রয় দিতে চাচ্ছে তাদেরও সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ এই সরকার আর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারের আচরণ একই রকম’, বলেন রিজভী।
আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জেবা খানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আমেনা খাতুন ও মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শামসুন নাহার বেগম প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস