আবারও ইরানের ফুটবল মাঠে দেখা যাবে নারী দর্শক-সমর্থকদের।গ্যালারিতে বসে খেলা দেখায় বহু বছরের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যাচ্ছে তেহরান সরকার। এর ফলে এখন থেকে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে প্রিয় দলের হয়ে গলা ফাটাতে পারবেন ইরানের নারীরা।
ইরান ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান তাজ মেহেদী গত রোববার এই বিষয়ে ঘোষণা দিলেও তা প্রকাশ্যে এসেছে মঙ্গলবার। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লবের পর ফুটবলসহ অন্যান্য খেলাধুলোর ক্ষেত্রে স্টেডিয়ামে নারী উপস্থিতি নিষিদ্ধ করা হয়।
ধর্মীয় নেতাদের যুক্তি ছিল, পুরুষ শাসিত সমাজে শরীরের পুরো অংশ না ঢেকে খেলাধুলোয় অংশ নেওয়া পুরুষ অ্যাথলেটদের দেখা থেকে নারীদের নিরাপদে রাখা উচিত। স্টেডিয়ামে নারী দর্শকের জন্য খেলার খেলার আলাদা ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যা তৈরি করে। এজন্য মাঠে যাওয়াই বন্ধ।
এ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। সেই প্রতিবাদের কাছে মাথা নত করে ২০১৯ সালে তেহরানের আজাদী স্টেডিয়ামে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইরানের খেলা দেখার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল নারী ফুটবলপ্রেমীদের।
২০১৯ সালে ছেলেদের ছদ্মবেশ নিয়ে স্টেডিয়ামে ফুটবল ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন নারী ফুটবল সমর্থক সাহর খোদাইরি। ধরা পড়লে কারাবাসের শাস্তি হতে পারে এই আশঙ্কায় নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন ইরানি তরুণী। ইশতেগলালের কঠিন ভক্ত ছিলেন খোদাইরি।
আগামী মাস থেকে ইরানে শুরু হচ্ছে ফুটবল লিগ। এবারের লিগে মোট ১৬টি দল অংশ নেবে। রোববার লিগ ফুটবলের ড্র ছিলো। সেখানেই ইরান ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাজ মেহেদী জানান, চলতি বছর স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে প্রিয় দলের খেলা দেখতে পাবেন নারীরা।
এজন্য দেশটির ইস্পাহান, কেরমান ও আহবেজের স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে নারী দর্শকদের জন্য আলাদা জায়গা রাখা হচ্ছে। থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সূত্র: জিও টিভি
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি