রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:০৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
গণঅভ্যুত্থানে আহত-নিহতদের তালিকা প্রকাশসহ ৯ দাবি শেখ পরিবারের ছয় সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘দেশের ৬ কোটি শ্রমিকের আইনি সুরক্ষা ও মজুরির মানদণ্ড নেই’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তলবে যে ব্যাখ্যা দিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার মণিপুরে আসাম রাইফেলসের ক্যাম্পে হামলা উত্তেজিত জনতার রেমিট্যান্স আহরণে ‘গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেলো ইসলামী ব্যাংক মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ নতুন করে ভ্যাট আরোপ হবে সরকারের নির্দয় সিদ্ধান্ত : জিএম কাদের মোবাইল-ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট প্রত্যাহার না করলে এনবিআর ঘেরাও রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করল আরব আমিরাত এবার মহাশূন্যে বাঁধ দিয়ে বিদ্যুৎ প্রকল্প বানাবে চীন! ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব সাধারণ নির্বাচনকে ‘সর্বশ্রেষ্ঠ ও ঐতিহাসিক’ করতে চায় সরকার টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জাকিরের ঝড়, সিলেটের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি কাউন্সিল নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে বিএনপি নেতা নিহত বগুড়া বিমানবন্দর চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে হেনরীর জমি, ফ্ল্যাটসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেশে এইচএমপি ভাইরাস শনাক্ত ২৬ ফুট লম্বা স্যান্ডেল, গিনেসে নাম উঠছে সানিয়ার দীর্ঘমেয়াদী ও বড় ধরনের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ইরান

নামিদামি অফিসই ছিল তাদের টার্গেট

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার অবস্থিত নামিদামি অফিসে চুরির জন্য টার্গেট করে একটি চোর চক্র। এই চক্রের সদস্যরা প্রথমে টার্গেট করা অফিসকে দুই থেকে তিনদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করেন। এরপর চুরির কৌশল রপ্ত করেন। টার্গেট করা এসব অফিসের তালা, সিকিউরিটি লক, ডিজিটাল লক ও অফিস কক্ষের ড্রয়ার ভেঙে মূল্যবান মালামাল ও টাকা-পয়সা চুরি করে সুকৌশলে বের হয়ে চলে যেতেন তারা।

এ চক্রের সদস্যরা আগে চট্টগ্রামের বন্দর এলাকায় চুরি করলেও গত তিন বছর ধরে চক্রটি ঢাকায় চুরি করা শুরু করে। নামিদামি অফিসে চুরি করে চক্রের দুই সদস্য দালান বাড়িও গড়ে তুলেছেন। ইতোমধ্যে যেসব অফিসে চুরি হয়েছে তাদের সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি না থাকায় এতদিন এ চক্রটি ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। এরপর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের উত্তরা জোনাল টিমের অভিযানে এ চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ধারাবাহিক অভিযানে রাজধানীর ডেমরা ও কুমিল্লা জেলার কান্দিরপাড় এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- মূলহোতা মো. জামাল উদ্দিন, শফিক ভূইয়া ওরফে বাছা, বাছার স্ত্রী মুক্তা আক্তার, জসিম উদ্দীন, কাদের কিবরিয়া ওরফে বাবু, মো. শাকিল, আল আমিন। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি হাতুড়ি, একটি লোহার রেঞ্জ, তিনটি হ্যাকস ব্লেড, একটি প্লায়ার্স, তিনটি স্ক্রু ড্রাইভার, ও ২০টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।

jagonews24

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম।

তিনি বলেন, গত ১১ জুন রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার প্যারাডাইস টাওয়ারের অষ্টম তলায় গোল্ডেন টাচ ইমপোর্টার্সের অফিসে চুরির ঘটনা ঘটে। চুরির ঘটনায় গত ১৩ জুন উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা হয়। এই মামলার ছায়া তদন্তকালে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় চুরির ঘটনায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা উত্তরা জোনাল টিম।

ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করার পর তারা জানান, চট্টগ্রামে চক্রের মূলহোতা জামালের বিরুদ্ধে ১০টির বেশি চুরির মামলা রয়েছে। গত তিন বছর আগে তারা ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় এসে সুউচ্চ ভবনের নামিদামি অফিসে চুরি করা শুরু করেন। অফিস টাইম শেষ হলে প্রথমে চক্রের সদস্যরা সুউচ্চ ভবনে খোলা থাকা অফিসে গিয়ে রিসিপশনে সময় কাটাতে থাকেন এবং পাশের বন্ধ থাকা অফিস রেকি (পর্যবেক্ষণ) করেন। এরপর ভবনের প্রায় সব অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অফিসের তালা, সিকিউরিটি লক, ডিজিটাল লক ও অফিস কক্ষের ড্রয়ার ভেঙে মূল্যবান মালামাল ও টাকা পয়সা চুরি করে পালিয়ে যান।

চক্রের সদস্যরা আদাবর টাওয়ারের চতুর্থ তলার এক্সপার্ট গ্রুপে, কাকরাইল নাসির উদ্দিন টাওয়ারের দশম তলায় আমিন গ্রুপে, গুলশান জব্বার টাওয়ারের ১৯তলায় অ্যাসিউর গ্রুপে, বাড্ডার রূপায়ন টাওয়ারের ষষ্ঠ তলায় অবস্থিত সফট লিংক কোম্পানিতে ও সপ্তম তলায় অবস্থিত এক্সজিবল কোম্পানির অফিসে চুরি করেন।

যারা ব্যবসায়ী কিংবা নামিদামি অফিস করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, অনেক অফিসে সিসি ক্যামেরা থাকলেও নজরদারির অভাবে চুরি হলেও চোর শনাক্ত করা যায় না। সিসি ক্যামেরা নিয়মিত মনিটরিংয়ের জন্য একজন কর্মকর্তাকে নিয়োজিত করার পরামর্শ দেন তিনি।

এক প্রশ্নের উত্তরে ডিবির যুগ্ম কমিশনার বলেন, সাতজন ছাড়াও এই চক্রের আর কারা কারা জড়িত তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে এছাড়া বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) কাজী শফিকুল আলমের নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) আছমা আরা জাহানের তত্ত্বাবধানে উত্তরা জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) বদরুজ্জামান জিল্লুর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয় বলেও জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com