নববর্ষে নতুন পোশাক চেয়েছিল আফরোজা খাতুন (১৫)। বাবা কিনে দিতে পারেননি। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ায় জড়ান মা। এতে কষ্ট পায় আফরোজা। ঝগড়া থামাতে অনুরোধ করে সে। তারপরও ঝগড়া না থামায় আত্মহত্যা করে সে।
গতকাল রোববার সকালে চুয়াডাঙ্গার কুতুবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আফরোজা খাতুন ওই গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের মেয়ে। সে ঝিনাইদহের গোবিন্দপুর গ্রামে নানার বাড়ি থাকত। সে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
আফরোজা খাতুনের চাচা আরিফ হোসেন বলেন, অভাবের সংসার তোফাজ্জেল হোসেনের। আফরোজা খাতুন নামের এক মেয়ে আর তানজিল হোসেন ও তসলিম হোসেন নামের দুই ছেলে রয়েছে তাঁর। স্ত্রী তিন সন্তান নিয়ে মাটির একটি ঘরে বাস করেন তোফাজ্জেল। সংসার চলে কামলা দিয়ে।
আরিফ হোসেন জানান, পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে আফরোজা খাতুন বাবার বাড়ি বেড়াতে যায়। সেখানে বাবার কাছে বৈশাখী পোশাক চায়। পোশাক না কিনে দেওয়ায় মেয়েটি মন খারাপ করে। গতকাল সকালে তার মা পারভিনা খাতুন বিষয়টি নিয়ে তোফাজ্জেল হোসেনের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় আফরোজা তাঁদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। এতে কাজ না হলে ঝগড়ার জন্য নিজেকে দায়ী ভেবে সবার চোখের আড়ালে গিয়ে সে কীটনাশক পান করে। বিষয়টি বাবা-মা বুঝতে পেরে দ্রুত স্থানীয় বদরগঞ্জ বাজারে পল্লি চিকিৎসক শাহজাহানের কাছে নিয়ে যান। ওই চিকিৎসক জানিয়ে দেন আফরোজা মারা গেছে।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার কুতুবপুর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপপরিদর্শক (এসআই) আক্রাম হোসেন বলেন, মেয়েটির পরিবারের লোকজন ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের জন্য প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। সেখানকার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে।