বাংলা৭১নিউজ,(নওগাঁ)প্রতিনিধি: নওগাঁর অভ্যন্তরীণ সব রুটে দুদিন থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিকল্প হিসেবে জরুরি প্রয়োজনে যাত্রীরা সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় গন্তব্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।
নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে জেলার বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে ১১টি উপজেলার সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। ভোগান্তি নিরসনে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।
এদিকে, ধর্মঘটের সুযোগে ইঞ্জিনচালিত স্থানীয় যান মাহেন্দ্র, মিনি পিকআপ, মাইক্রোবাসসহ ছোট গাড়িগুলো কয়েকগুণ ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। এসব যানবাহনে ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা।
বাসচালক শামীম হোসেন বলেন, নতুন সড়ক আইন মূলত আমাদের জন্য কালো আইন। এই আইন সংশোধন না হলে আমাদের পক্ষে গাড়ি চালানো সম্ভব না। নতুন সড়ক আইন খুব কঠিন চালকদের জন্য। একটি দুর্ঘটনার পর চালককে সারাজীবন হাজতে থাকতে হবে।
নওগাঁ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, নতুন সড়ক আইন সংশোধনের দাবিতে ধর্মঘট করছেন চালকরা। আমাদের পক্ষ থেকে চালকদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু তাদের একটাই দাবি নতুন আইন সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে চালকরা গাড়ি জমা দিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন। আগামী ২১-২২ নভেম্বর শ্রমিক ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
নওগাঁ জেলা মোটরযান সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম বলেন, মোটর শ্রমিকরা অঘোষিতভাবে ধর্মঘট পালন করছেন। নতুন আইনে পাঁচ বছর কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও উভয়দণ্ডে দণ্ডিত এবং জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। এ কারণে ভয়ে গাড়ি না চলিয়ে ধর্মঘট পালন করছেন চালকরা। তবে গাড়ির যাবতীয় কাগজপত্র সঠিক রাখতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করি।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে