আফগানিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হওয়ার আশঙ্কা নিয়েই আজ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলতে নামবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ যদি শেষ পর্যন্ত ধবলধোলাই হয়েই যায়, তবে ফিরে আসবে ৯ বছরের পুরোনো স্মৃতি।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশও প্রায় ‘ফাইনাল ফ্রন্টিয়ার’ হয়ে গিয়েছিল প্রতিপক্ষ দলগুলোর কাছে। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের কাছে হারার পর টানা ৭টি ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে এসে এই জয়ের ধারায় ছেদ টেনেছে সেই ইংল্যান্ডই। এখন ইংল্যান্ডের পর আফগানিস্তানের কাছেও সিরিজ হেরে যাওয়ায় প্রতিপক্ষ দলগুলোর কাছে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ‘ফাইনাল ফ্রন্টিয়ার’ পরিচয় বড় একটা ধাক্কাই খেয়েছে।
ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ সর্বশেষ ধবলধোলাই হয়েছে ২০১৪ সালে। তিন ম্যাচের সিরিজটা জিতেছিলেন শ্রীলঙ্কানরা। ২০১১ সালের পর গত এক যুগে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ ওই একবারই ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে। তার আগের এক যুগে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ ধবলধোলাই হয়েছে ১১ বার। ঘরে-বাইরে মিলিয়ে বাংলাদেশ ওয়ানডেতে ধবলধোলাই হয়েছে ৩১ বার। ৫০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ধবলধোলাই হয়েছে শুধু জিম্বাবুয়ে—৪১ বার।
চলমান সিরিজের আগে দেশের মাটিতে ৪৫টি ওয়ানডে সিরিজ খেলে বাংলাদেশ জিতেছে ২৫টিতেই। এর ১৪টি জয়ই শেষ ১৬ সিরিজে।
ঘরের মাঠে ধবলধোলাইয়ের অনুভূতি ভুলতে বসলেও গত ৯ বছরে দেশের বাইরে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা বেশ কয়েকবারই পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালের পর প্রতিপক্ষের মাঠে ১২টি ওয়ানডে সিরিজ খেলে পাঁচবার ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ।
তবে এ সময়ে দেশের বাইরে দুবার স্বাগতিকদের ধবলধোলাইও করেছে বাংলাদেশ। প্রথমবার ২০২১ সালে জিম্বাবুয়েকে, ২০২২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। তবে দেশের বাইরে প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করার স্বাদ ২০০৬ সালেই পেয়েছে বাংলাদেশ। কেনিয়া সফরে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০০৯ সালে দেশের বাইরে ওয়ানডেতে প্রথম সিরিজ জয়ের পথে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও ধবলধোলাই করেন সাকিবরা।
দেশ-বিদেশ মিলিয়ে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করেছে ১৬ বার। টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করার তালিকায় বাংলাদেশ আছে নয়ে। জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডই বাংলাদেশের চেয়ে কম ধবলধোলাই করেছে প্রতিপক্ষকে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি