অন্তর্ববর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা না করে ইউনূস সরকার ক্ষমতা ছাড়তে পারবেন না। আপনাদের কাজ দেশের অভ্যন্তরীণ সংস্কার করা। সংস্কার করে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা জনগণের কাছে হস্তান্তর করুন। তবে ক্ষমতায় বেশিদিন থাকলে থাকুন, কিন্তু ফাজলামি করবেন না।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া কলেজ মাঠে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা দাবিতে খতমে নব্যুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি আয়োজিত জাতীয় মহাসম্মেলনে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, জাতিসংঘের যে আঞ্চলিক মানবাধিকার অফিস বাংলাদেশে করবার পাঁয়তারা করছেন আর এ জন্য যে বয়ান তৈরি করছেন দেশের মুসলমান আর এদেশের আলেম সমাজকে যদি এতো বোকা ভাবেন, তাহলে আমি মনে করি আপনারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন।
খতমে নব্যুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের আমির ও মধুপুরের পীর আল্লামা আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে প্রধান মেহমান হিসেবে বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা খলিল আহমদ কাসেমী আল-কুরাইশী। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বেফাকের মহাসচিব মুফতি মাহফুজুল হক, মাওলানা জুনাইদ আল হাবীব, মাওলানা শায়েখ আহমাদুল্লাহ, মুফতি জাফর আহমদ, মুফতি নুর হোসাইন নূরানী, মাওলানা নাজমুল হাসান, কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ।
এ দিকে সকাল ১০টার দিকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে জাতীয় এ মহাসম্মেলন। পরে সাংবাদিকদের কাছে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি তুলে দেওয়া হয়। তাতে বক্তাদের বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বক্তারা বলেন, অতি দ্রুত তাদের অমুসলিম ঘোষণা না করা হলে এ দেশের আলেম-ওলামারা পুরো দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তাদের প্রতিহত করবে। আমরা কোনো আইন হাতে তুলে নিতে চাই না। কিন্তু রাসুলের সঙ্গে বেয়াদবি আমরা বরদাশত করব না। আমরা আশা করি সরকার দায়িত্বশীল কাজ করবে এবং এদের কোনো কার্যক্রম বাংলাদেশে চলতে দিবে না। তারা আরও বলেন, ধৈর্য্যের একটা সীমা আছে। আমরা বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে পারব না। যদি কাদিয়ানীদের দ্রুত অমুসলিম ঘোষণা করা না হয় তাহলে দেশবাসী নিজেরাই ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি