কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো মেরামত ও দেশ পুনর্গঠনে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কুয়েত প্রবাসীরা।
আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বিজয় উল্লাসে কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায়। দেশের সংকটকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় রিজার্ভ বৃদ্ধিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে অনুরোধ জানান তারা।
প্রবাসীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপকহারে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা যায়। ফলে এই আন্দোলনে আমাদের সন্তান, ভাই, বন্ধু স্বজনরা শামিল ছিল। প্রবাসীদের দেহ বিদেশে থাকলেও মন পড়ে থাকতো দেশে।
তারা জানান, আন্দোলনের সময় সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে দৃষ্টি রেখেছি আমরা। এই আন্দোলনকে থামাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে আমরা পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। দেশের খোঁজখবর না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেঁটে পড়েন প্রবাসীরা।
ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে প্রবাসীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাতে দেখা যায়। ফেসবুক, টিকটকে অনেক প্রবাসী বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাবে না এবং অন্য প্রবাসীদের না পাঠাতে নিষেধ করতে দেখা যায়।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীরা বেশিরভাগই স্বল্প আয়ের সাধারণ শ্রমিক। এসব প্রবাসীদের মরদেহ সরকারি খরচে প্রেরণ ও যাতায়াতে বিমানবন্দরে হয়রানি, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে হয়রানি বন্ধ এবং বিমানের টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এবি